লোকসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের (Nandigram) দুটি আসনেই জিতেছে বিজেপি। কড়া টক্কর দিলেও শেষ পর্যন্ত কাঁথি ও তমলুক থেকে হেরেছেন তৃণমূলের উত্তর বারিক এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য। এবার নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটের তৃণমূলকে উড়িয়ে দিল বিজেপি। নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে গেরুয়া ঝড় উঠেছে।
সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। ১৯৬৩ সালে এই সমবায় সমিতি স্থাপিত হয়। তবে এতদিন পর্যন্ত সেখানে ‘সিলেকশনের’ মাধ্যমে পরিচালন সমিতি গঠিত হত। এই প্রথম নির্বাচন হল প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে।
ভোট ঘিরে এদিন সকাল থেকেই গোটা এলাকায় ছিল সাজো সাজো রব। বিজেপি-সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে সকাল থেকে কর্মীদের ভিড় থাকলেও তুলনায় ফাঁকাই ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিস। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন করা হয় গোটা এলাকায়।
অধীরের পর কে হচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি? সামনে এল বিরাট নাম
প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির আসনসংখ্যা ১২। সমবায়ের সদস্য সংখ্যা ৭৫৬। ২০২১ সালে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও বোর্ড গঠিত না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল। আদালত ২১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটের নির্দেশ দেয়।
কিন্তু ভোটার তালিকা জনিত সমস্যার কারণে সেই তারিখে মধ্যে নির্বাচন হয়নি। এরপর আদালত নির্দেশ দেয়, ২৫ মে-র মধ্যে ভোট করতে হবে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে লোকসভা নির্বাচন চলায় সেই তারিখের মধ্যেও ভোট হয়নি। অবশেষে হাইকোর্ট জানায়, ২৬ জুনের মধ্যে ভোট করতে হবে। সেই মতো আজ ২৩ জুন সমবায় সমিতিতে ভোট হয়।
ফের দুর্ঘটনা! হাওড়ায় ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে গল গল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া…