খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কাজে লাগেনি। দিনের পর দিন সরকারি জমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। হুঁশ নেই
প্রশাসনের। যা নিয়ে নবান্নে লোকসভা ভোট পরবর্তী বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন রাজ্য সরকারের এক শ্রেণির আমলা ও পুলিশ কর্তারা। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে এক মন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সরকারি জমি বেহাত হওয়া রুখতে জোরদার পদক্ষেপ করল নবান্ন।
জানা গিয়েছে, সরকারি জমি জবরদখল রোধে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন- কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল, অর্থ সচিব মনোজ পন্থ, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা এবং আইএএস অফিসার প্রভাত মিশ্র।
এই কমিটি মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। যাতে উল্লেখ থাকবে, কোন এলাকায় কত সরকারি জমি রয়েছে, সেগুলির কী অবস্থা।
চিন্তা বাড়ল মমতার? বাংলায় আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা
নবান্ন সূত্রে খবর, জবরদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েক মাস আগেই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই দফতরে ‘ঘুঘুর বাসা’ রয়েছে বলেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এইসব বেআইনি কাজে সরাসরি বেশ কিছু সরকারি কর্মীও যুক্ত বলে দাবি করেছিলেন মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আগেই যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল তাতে রয়েছে যে, সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ জমিও বেহাত হয়ে চলেছে। এমনকী বাদ নেই কলকাতাও।