পদ্মবনে ফুটেছে ঘাসফুল (Mamata Banerjee)! কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে দখল করেছে তৃণমূল। তার পর থেকেই কোচবিহারে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন শয়ে শয়ে নেতা-কর্মী। দিন কয়েক আগেই কোচবিহারে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ফিরতেই কোচবিহারে বড় ভাঙন বিজেপিতে।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্দরন ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য সবিতা সাহা, কৃষ্ণ বর্মন, প্রশান্ত বর্মন তৃণমূল যোগ দেন। কয়েকজন বুথ সভাপতি এবং প্রায় ২০০ বিজেপি কর্মী সমর্থকও এদিন ফুলবদল করেন।
দলবদলকারী নেতাদের কথায়, নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী কোনও কাজ করেন না। এলাকায় তাঁকে দেখাই যায় না। রাস্তাঘাট, জল, আলো সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার গ্রামবাসী। অন্যদিকে তৃণমূলের বিধায়করা চুটিয়ে কাজ করছেন। উন্নয়নে সামিল হতেই এই দলবদল বলে দাবি করেন তাঁরা।
সিপিএমের ‘দয়ায়’ বাংলায় ১২ আসন জিতেছে তৃণমূল, বিস্ফোরক শুভেন্দু
কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্রবর্মা বসুনিয়ার কাছে পর্যদস্তু হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। আর এতেই তৃপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে কোচবিহারে গিয়ে দলীয় বৈঠক করার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন মন্দিরে পুজোও দেন মমতা।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ ৭,৮৮,৩৮৫টি ভোট পেয়েছেন। আর বিজেপির নিশীথ পেয়েছেন ৭,৪৯,১২৫টি ভোট। ৩৯ হাজার ২৫০ নিশীথকে উড়িয়ে দিয়েছেন জোড়াফুলের প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতিশচন্দ্র রায়। প্রাপ্ত ভোট ৩০,২৬৭।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বেতনের আগেই স্যালারি অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বাড়তি টাকা
দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা।