রাজধানী চেন্নাই থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায় বিষ মদ পান করে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জন। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
মৃতদের মধ্যে অনেকেই করুণাপুরম এলাকার বাসিন্দা। বিষমদে ছেলেহারা এক মহিলার কথায়, “আমার ছেলের পেটে গুরুতর ব্যথা করছিল। চোখ খুলতে পারছিল না। এরপরই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মদ্যপানের জন্য প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল তাকে ভর্তি করতে অস্বীকার করছিল। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া।’
আরেকজন মা বলছিলেন, ‘আমার ছেলের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। সে দেখতে পাচ্ছে না, শুনতেও অসুবিধা হচ্ছে। এটা কারও সঙ্গে হওয়া উচিত নয়। মদ বিক্রি বন্ধ করুন।’
বারাণসীতে এ কী কাণ্ড! উড়ন্ত চপ্পলের ল্যান্ডিং পয়েন্ট মোদীর বুলেটপ্রুফ গাড়ি
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক চোলাই বিক্রেতাকে আটক ও দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষাক্ত মদ পাণনের কারণে এই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তামিলনাড়ুর এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার। তিনি বলেছেন, ‘তারা ঠিক কী পান করেছিলেন সেটাই আমরা তদন্ত করছি। আমরা তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছি। চারজনের মধ্যে অন্তত তিনজনই বিষমদ সরবরাহের কাজে যুক্ত।’
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন ৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘কাল্লাকুরিচিতে বিষাক্ত মদ পান করে মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমি বিস্মিত এবং একইসঙ্গে দুঃখিত ৷ ঘটনায় জড়িত সকলেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ৷ যে সকল প্রশাসনিক আধিকারিক এই জঘন্য ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ এহেন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করা গেলে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ সমাজকে নষ্ট করার এহেন জঘন্য অপরাধ কড়া হাতে দমন করা হবে।’