পোপ-মোদী ছবি নিয়ে বক্রোক্তি! শেষপর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিল কংগ্রেসশুরুতে দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু সময় এগোতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রাহুল গান্ধী। পারিবারিক ঘাঁটি রায়বেরিলিকে সম্মান জানিয়ে শেষপর্যন্ত ‘দুঃসময়ের আশ্রয়’ ওয়ানাডের সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন রাহুল। সনিয়া-পুত্রের এই পদক্ষেপ বোন প্রিয়াঙ্কার ওয়ানাড় থেকে উপনির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পথ প্রশস্থ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রে এনডিটিভি জানতে পেরেছে যে, কংগ্রেস নেতাদের দাবি সত্ত্বেও, রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা গ্রহণের সম্ভাবনা কম। গান্ধী পরিবার মনে করছে যে, বিরোধী দলনেতা সময় সাপেক্ষ বিষয়। এই পদ নিলেই রাহুল মন্ত্রী পর্যায়ের পদমর্যাদা পেতেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সঙ্গে আরও ভাল সমন্বয় করতে পারতেন বলে মনে করেন অনেকের।
কংগ্রেস সোমবার সন্ধ্যায় একটি সভা করে ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার জানাতে পারে। এ দিনই লোকসভা সচিবালয়ে জানানোর শেষ দিন। রাহুল গান্ধী আসনটি থেকে ইস্তফা দিলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হবে ওয়ানাডে।
পোপ-মোদী ছবি নিয়ে বক্রোক্তি! শেষপর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিল কংগ্রেস
কেরল কংগ্রেসের সভাপতির মতে, ওয়ানাডের পরিবর্তে রাহুল রায়বরেলিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ, তাঁর রাজনৈতিক ব্যস্তস্তা আগামী দিনে আরও বাড়বে। স্বভাবতই দিল্লি থেকে কাছে রায়বরেলির সাংসদ থাকা তাঁর জন্য সহজ হবে। গত পাঁচ বছর ওয়ানাডের সাংসদ হিসাবে তিনি এলাকার জন্য যথেষ্ট করেছেন।
তবে, রাহুল গান্ধী রায়বরেলির সাংসদ থেকে যাওয়ার নেপথ্যে অনেক বেশি কাজ করবে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি লোকসভার সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্কের বিষয়টি। মা সনিয়া রায়বরেলি থেকে চারবার জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। এছাড়া রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী রায়বরেলি থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ফলে রায়বরেলির সাংসদ থাকাটা রাহুলের জন্য অনেক বেশি রাজনৈতিক বার্তাবহ সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বিরোধী দলনেতা হলে আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম সামনের সারিতে থাকবে।