দেশীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে নানা ইতিহাস তৈরি করেছে ময়দানের তিন প্রধান ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান এবং মহামেডান। বলা বাহুল্য, দেশীয় ফুটবলের জগতে সর্বদাই নতুন নতুন প্রতিভার জন্ম দিয়েছে এই ক্লাব গুলি। সেইসাথে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ও যথেষ্ট দাপট থেকেছে লাল-হলুদের পাশাপাশি সবুজ-মেরুনের। গত মরশুমে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলেছিল মোহনবাগান।
এছাড়াও মরশুমের শেষের দিকে মুম্বাই সিটি এফসির মতো শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে শিল্ড জিতেছিল দল। অন্যদিকে, মোহনবাগান থেকে শুরু করে একাধিক হেভিওয়েট দলকে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল দলের সমর্থকদের। এই জয়ের দরুন ফের এএফসির মতো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় গর্বের বিষয়। পাশাপাশি নতুন মরশুমে নিজেদের দাপট বজায় রাখার লক্ষ্য রয়েছে এই ফুটবল ক্লাবের। সেইমতো একের পর এক দাপুটে ফুটবলারদের সাইন করিয়েছে ক্লাব।
গত কয়েকদিন আগেই তাদের মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে গ্ৰীক ফুটবলার দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোসের নাম। আগামীতে আরও একাধিক ফুটবলারদের নাম ঘোষণা করা হবে ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে। তবে এসবের মাঝেই নয়া উপহার পেল দুর্গাপুরের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ দুর্গাপুরে উদ্বোধন হল ইস্টবেঙ্গল সরণি।
সেখানকার ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের পাশাপাশি পুরনিগমের যৌথ উদ্যোগে সেন্ট্রাল রোড থেকে হেলথ ওয়াল্ড হাসপাতাল পর্যন্ত রোডকে এবার থেকে চিহ্নিত করা হবে এই নামে। যা নিঃসন্দেহে খুশির আবহ তৈরি করেছে সমর্থকদের মধ্যে। এদিন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় এই নয়া রাস্তাটির।
উক্ত অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সেখানকার সদ্য নির্বাচিত সাংসদ কীর্তি আজাদ সহ উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ও আইএফ’এ সভাপতি অজিত বন্দোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিরা। এছাড়াও ক্লাবের একাধিক প্রাক্তন ফুটবলারদের উপস্থিতিতে অন্য এক মাত্রা পায় এই অনুষ্ঠান।