ফের কলকাতার ক্লাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন হোসে মোলিনা। এবার তাঁর প্রশিক্ষণে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan)। গতবারের মরসুমের শুরুর দিকে ছিলেন হুয়ান ফেরান্দো। তারপর ছিলেন লোপেজ হাবাস। এবার হোসে মোলিনা। কোন কোন ফুটবলার প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা পাবেন তার অনেকটা নির্ভর করে কোচের পরিকল্পনার ওপর।
হাবাসের সময়ে অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa) বেশিরভাগ সময় ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। মাঠে নেমেছিলেন পরিবর্তে ফুটবলার হিসেবে। হুয়ান তাঁকে কাজে লাগিয়েছিলেন নিয়মিত। মোলিনা জমানায় নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবেন এই ভারতীয় মিডফিল্ডার?
Mohun Bagan: এটিকে’র পর মোহনবাগানেও হয়তো এই সুবিধা পাবেন মোলিনা
মোলিনার পরিকল্পনা অনেকটা নির্ভর করে মাঝমাঠের ওপর। প্রতিপক্ষকে টেক্কা দেওয়ার জন্য মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তার করার ব্যাপারে জোর দিতে পছন্দ করেন। তাঁর লোপেজ পূর্বসূরি হাবাস মূলত প্রতি আক্রমণের ওপর বেশি জোর দিতেন। মোলিনা পজিশন বজায় রেখে ম্যাচ খেলাতে হয়তো বেশি পছন্দ করবেন।
সাধারণত ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল নামান হোসে। মোলিনার সিস্টেম সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের সৃজনশীলতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর অনেকটাই নির্ভর করে। এই ফর্মেশন বা ট্যাক্টিসে খেলালে সাহাল আব্দুল সামাদ এবং অনিরুদ্ধ থাপার মতো খেলোয়াড়দের কাঁধে বড় দায়িত্ব এসে পড়তে পারে। আরও বেশি করে সুযোগ পেতে পারেন এই দু’জন।
CFL: হরিপালের প্রিয়ঙ্কর খেলেছেন গোয়ায়, এবারেও টালিগঞ্জে
মোলিনার কোচিংয়ে মোহনবাগান সমর্থকরা গতিশীল এবং মসৃণ আক্রমণাত্মক শৈলী ফুটবল করতেই পার। লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিং দুই প্রান্তকে কাজে লাগিয়ে দলের আক্রমণ গড়ার ক্ষেত্রে বেশি সহায়তা প্রদান করতে পারেন। মোলিনা বলে দখল নিজেদের কাছে রাখা ও প্রেসিং করার ব্যাপারেও জোর দিতে পারেন। থাপা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবেন। সাহালকে কোচ কোন ভূমিকায় খেলান সেটা হবে দেখার বিষয়।