লোকসভা ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার! শিক্ষকদের ডিএ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করলেন মমতা

আর ২-৪ শতাংশ নয়। শিক্ষকদের ডিএ এক ধাক্কায় ১০ শতাংশ (DA Hike) বৃদ্ধি করল মমতা সরকার। এ নিয়ে খুশির হাওয়া শিক্ষক মহলে। তবে সমস্ত শিক্ষকরা…

আর ২-৪ শতাংশ নয়। শিক্ষকদের ডিএ এক ধাক্কায় ১০ শতাংশ (DA Hike) বৃদ্ধি করল মমতা সরকার। এ নিয়ে খুশির হাওয়া শিক্ষক মহলে। তবে সমস্ত শিক্ষকরা এই সুবিধে পাবেন না। কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

এই বিশেষ শ্রেণির শিক্ষকদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে বিকাশ ভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এটি কার্যকর হবে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা ১৪১ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন, এবার পাবেন ১৫১ শতাংশ।

   

দিন কয়েক আগেই লক্ষ লক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরাট সুখবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এপ্রিল থেকেই ৪ শতাংশ ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর আগে জানানো হয়েছিল, মে মাস থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, মে নয়, এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

উপনির্বাচনের আগেই তৃণমূলের কাছে ‘হেরে ভূত’ বিজেপি!

চলতি বছর রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১ মার্চ সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী মে থেকেই বর্ধিত হাতে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। আজকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হল, মে নয়, এপ্রিল থেকে বর্ধিতা হারে ডিএ দেওয়া হবে।

ডিএর দাবিতে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। অবশেষে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেটেও তা উল্লেখ করা হয়। এই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে মোট মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন ১৪ শতাংশ।

বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি সাংসদের বোনকে প্রার্থী করল তৃণমূল

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএর ফারাক অনেকটাই বেশি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা ঐচ্ছিক। রাজ্য সরকার চাইলে ডিএ দিতে পারে, না দিলেও আইনি কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বর্ধিত ডিএ-এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী। এদিকে এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ কার্যকর হওয়ার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। 

PSC-তেও দুর্নীতি! হোয়াটস অ্যাপে ফুড এসআই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার ২