ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি মুরলি জোসেফ (Murali joseph)। নিজের সময় চুটিয়ে খেলেছেন ফুটবল। খেলেছেন মোহনবাগানের হয়ে। এখন তিনি কোচিংয়ে। সম্প্রতি কোচিং করিয়েছেন দিল্লি ফুটবল লিগে। সেখানে তাঁর কোচিং করানোর ধরণ বেশ অন্যরকম। দিল্লির লিগে খেলে একাধিক ক্লাবের অফার পেয়েছেন ফুটবলাররা।
দিল্লি ফুটবল লিগের সিনিয়র ডিভিশনের ক্লাব ইউনাইটেড ভারত এফসির কোচের পদে ছিলেন তিনি। দলকে তুলেছেন টুর্নামেন্টের প্রিমিয়ার ডিভিশনে। বাংলার একাধিক ফুটবলার খেলেছেন তাঁর প্রশিক্ষণে। কেমন ছিল তাঁর কোচিংয়ের ধরণ?
সাগির আহমেদ বলেছেন, “দিল্লিতে তাপমাত্রা তখন প্রায় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ দল প্র্যাকটিস করিয়েছে সকালে। জোসেফ কোচিং শুরু করেছেন সকাল ১১ টা থেকে। অনুশীলন চলেছেন বিকেল ৩ টে পর্যন্ত। অনুশীলনে ঢিলেমি দেওয়া না পসন্দ জোসেফের। তবে ফুটবলারদের কন্ডিশন অনুযায়ী করিয়েছেন ট্রেনিং। নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সমস্ত ড্রিল সম্পন্ন করেছেন দলের ফুটবলাররা।”
রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ বাইরে থাকতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। জোসেফের এই অনুশীলনের ফলে ফুটবলাররা কি সমস্যায় পড়েছিলেন? উত্তর চমকে দেওয়ার মতো।
সান্নিক মুর্মু জানিয়েছেন, “দলের ছেলেরা কোনও সমস্যার মধ্যেই পড়েননি। বরং বেড়েছে শারীরিক সক্ষমতা। কাঠফাটা রোদের মধ্যেও গোটা ম্যাচ জুড়ে দৌড়েছেন খেলোয়াড়রা। বরং অন্য দলের ফুটবলারদের দমে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। “
জোসেফের এই কড়া ট্রেনিংয়ের ফলে কড়া রোদকেও ছেলেরা হার মানিয়েছে। এমনকি ক্র্যাম্পের মতো সমস্যাও হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলার ফুটবলার আজিজুল রহমান। তাঁর মতে, “দিল্লিতে এই অনুশীলনের পর বঙ্গের গরমকেও সহ্য করে নিতে পেরেছি। শারীরিকভাবে একেবারে ফিট।”