রাজভবনে প্রবেশ করতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় এক ঘন্টা গাড়িতে আটকে রাখা হল রাজ্যের বিরোধী দল নেতাকে। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো শোরগোল ছড়িয়েছে রাজভবন চত্বরে। বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসার আক্রান্ত প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিল তাঁর। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে কলকাতায় এসেছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরাও। কিন্তু সেই আয়োজন একরকম মাঠে মারা গেল। রাজভবনে নর্থ গেটের ভেতর পা রাখতে পারলেন না কেউই।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে পুলিশ এইরকম আচরন করছে, তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধীদের সঙ্গে এই নিষ্ঠুর আচরণ করার জন্য। এদিন রাজভবনের নর্থ গেট চত্বরে প্রায় এক ঘন্টা আটকে রাখা হয় শুভেন্দুকে। কলকাতা পুলিশের ঘেরাটোপে পড়ে গাড়ি থেকে নামতে পারছিলেন না তিনি। গাড়িতে বসে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। ততক্ষণে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে শুরু করে।
রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে রীতিমতো রাস্তাতে বসে পড়েন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজেপি কর্মীরা। যার মধ্যে ছিলেন ডায়মন্ডহারবারে সদ্য পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অভিজিত দাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রায় চার লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। এদিকে রাজ্যেপালের সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে ততক্ষণে। সুতরাং, রণে ভঙ্গ দিতে একরকম বাধ্য হয় বিজেপির কর্মী বাহিনী।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমি মমতার তাঁর মতো ধ্বংসের রাজনীতি করি না। ২০২১ সালের মতোই বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর নির্যাতন করছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যে যেভাবে হিংসা বাড়ছে তাতে আদালতের হস্তক্ষেপ চাই। সোজা পথে না হলেও আইনি পথেই রাজভবনে ঢুকব।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাবেন বলে রাজ্যপালের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট কবে পাঠানো হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
অন্যদিকে,বিজেপির পাল্টা চাল তৃণমূলের। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরিতে যাবে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে,শুভেন্দু গড়ে হিংসার কবলে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের বহু কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে যাবেন কুনাল ঘোষ,বীরবাহা হাঁসদা,কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও শিউলি সাহা।