দুর্ভোগের যেন শেষ নেই! আবারও বাতিল ১৬৬ লোকাল সহ বহু এক্সপ্রেস

কয়েকদিন আগেই শিয়ালদহ ডিভিশনে সম্প্রসারণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কাজের জন্য একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল হয়েছিল! তারই মধ্যে নিত্যযাত্রীদের চাপ, ঘন্টার পর ঘন্টা দেরিতে চলা ট্রেন, প্রবল ভিড়ে…

rail

কয়েকদিন আগেই শিয়ালদহ ডিভিশনে সম্প্রসারণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কাজের জন্য একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল হয়েছিল! তারই মধ্যে নিত্যযাত্রীদের চাপ, ঘন্টার পর ঘন্টা দেরিতে চলা ট্রেন, প্রবল ভিড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে টিটাগড়ে একজন যাত্রীর মৃত্যু, সব মিলিয়ে এক চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল! আবারও ১৬৬ টি ট্রেন বাতিলের নয়া ঘোষণাতে, সেই সদ্য সমাপ্ত বিভীষিকাই যেন ফেরত আসতে চলেছে বলে মনে করছে নিত্যযাত্রী মহল।

এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আন্দুলে নন ইন্টারলকিং এর কাজের জন্য আগামী ২২ শে জুন থেকে ১লা জুলাই, প্রায় ১৬৬ টি ট্রেন বাতিল থাকবে! এই জন্য মেদিনীপুর সহ খড়গপুর ডিভিশনের একাধিক লোকাল ট্রেন চলবে না বলেই ঘোষণা করা হয়েছে! শুধু লোকাল ট্রেন নয়, কোপ পড়ছে এক্সপ্রেসেও! ৩২ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে! এদিকে প্রায় ১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর! সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে যে ৩ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন তাদের নির্ধারিত গন্তব্যের আগে যাত্রা শেষ করবে এবং ৮ জোড়া এক্সপ্রেস এর সময় পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে।

   

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস, কান্ডারী এক্সপ্রেস, ধৌলি আরন্যক, শতাব্দী, ইন্টারসিটির মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন যেমন বাতিল হচ্ছে ,আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস এর মত ট্রেন গুলিও। অন্যদিকে পুরী-শিয়ালদহ, হাওড়া-পুনে, নয়াদিল্লী-ভুবনেশ্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুরন্ত এক্সপ্রেস গুলির যাত্রা পথ পরিবর্তন এবং প্রয়োজনে সময় পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে রেল সূত্রে।

যদিও রেল সূত্রে বলা হচ্ছে দশ দিনের জন্য এই সমস্যা চলবে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং নিত্যযাত্রীরা এখনই মনে করছেন যে আরো বেশ বেশ কিছুদিন তাদেরকে এই ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হবে! কারণ শিয়ালদহ ডিভিশনে এখনও কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ট্রেন যাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি! সেক্ষেত্রে হাওড়া সেকশনে এত বিশাল পরিমাণ ট্রেন বাতিলের ফলে মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলা এবং বাইরের রাজ্য থেকে প্রতিদিন যে বিপুল পরিমাণ মানুষ কলকাতায় আসেন,তাদের এবার চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।