কুর্সি হারিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক। ওডিশায় দুর্মুশ বিজেডি। দায় মাথায় নিয়ে শেষপর্যন্ত বড় ঘোষণা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত আমলা ভি কে পান্ডিয়ান। সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন পান্ডিয়ান।
দলের পরাজয়ের জন্য বিজেডি কর্মী-সমর্থকদের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন পান্ডিয়ান। ভিডিয়োবার্তায় রবিবার সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজের অবসরের ঘোষণা করেছেন এই অবসরপ্রাপ্ত আমলা। ওই বার্তায় ভি কে পান্ডিয়ান বলেছেন, ‘সচেতন ভাবেই নিজেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আমার এই যাত্রায় যদি আমি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি, তবে দুঃখিত। আমার বিরুদ্ধে যে প্রচার চালানো হয়েছিল, তা যদি বিজেডির পরাজয়ের কারণ হয়, তার জন্যও আমি দুঃখিত।’
পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে কাকে পছন্দ? কার নাম বললেন সুকান্ত মজুমদার
বিজেপি সহ ওডিশার বিজেডি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পান্ডিয়ানকে ‘বহিরাগত’ বলে প্রচার চালিয়েছিল প্রথম তেকেই। তবে তাতে কর্ণপাত না করে জন্মসূত্রে তামিলনাড়ুর আইএএস আধিকারিক পান্ডিয়ানকেই নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন নবীন পট্টনায়ক। ভোট চলাকালীনই ঘোষমা করেছিলেন যে, তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী বেছে নেবেন ওডিশার মানুষ। শেষ অবধি পান্ডিয়ানকে মেনে নেয়নি ওডিশার মানুষ। ভোটের ফলেই তা প্রমাণিত।
‘এনডিএ সরকার টিকবে না, ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া’, তারিখ বলে দিলেন মমতা!
ওডিয়া অস্মিতায় ভর করে গত আড়াই দশক ওডিশার কুর্সিতে ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। ভি কে পান্ডিয়ানকে দলের রাশ দিয়ে দেওয়ায় তাতেই বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। ওলোটপালোট হয়ে যায় সব। হেরে যান বিজেডি প্রধান।
গত নভেম্বরে আমলার চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন ভি কে পান্ডিয়ান। নবীনের আর্শীবাদ পেয়েই দলের প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করছেন বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোটের আগে বিজেডি থেকে দলত্যাগের হিড়িক পড়ে। ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায়, ওড়িশার ২১টি আসনের মধ্যে একটিও পায়নি নবীনের দল। বিধানসভা ভোটেও পরাজিত বিজেডি। ১৪৭টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫১টিতে জেতে শঙ্খ প্রার্থীরা। বিজেপি জেতে ৭৮টি আসনে। ২০০০ সাল থেকে টানা মুখ্যমন্ত্রী থাকা নবীন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পাশাপাশি এই হারের দায় মেনে নিলেন ভি কে পান্ডিয়ানও।