‘রবিনহুড’ অধীর চৌধুরী পরাজিত, তাও নিজের খাসতালুক বহরমপুরেই। হারের পর পরই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। খারাপ ফলের পর কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা যোগাযোগ না করায় মনে জমেছিল অভিমানের পাহাড়। ভেবেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়বেন। তবে, দু’দিন আগে অধীরকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এতেই গলে জল গাত শিবিরের ‘দাপুটে’ এই নেতা। দিল্লি যাওয়ার তোড়জোড় করছেন। সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের কাছে বড় আর্জিও রেখেছেন।
কী আবেদন অধীর চৌধুরীর?
শরিকি সমর্থনে রবিবার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তুঙ্গে ব্যস্ততা, চলছে নানা জল্পনা। প্রশ্ন হল, পাঁচ বছরের ব্যবধানে কে হবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা? ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এর পরের পাঁচ বছক ২০১৯-২০২৪ বিরোধী দলের পর্যাপ্ত আসন পায়নি কোনও দল। এই পরিস্থিতিতে অধীর চৌধুরীকেই কংগ্রেসের লোকসভার নেতা মনোনিত করেন সনিয়া-রাহুল গান্ধী।
এবার অধীর লোসকভা ভোটে জিততে ব্যর্থ। কিন্তু গত দু’বারের তুলনায় লোকসভা ভোটে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। ৯৯টি আসন দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলটির দখলে। ফলে প্রধান বিরোধী দলের তকমাও পাচ্ছে ‘ইন্ডি’ জোটের বড় শরিকদল কংগ্রেস।
হাত শিবিরের উন্নতিতে রাজনৈতিক পম্ডিতরা রাহুল গান্ধীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন। দলের অন্দরেও তাঁকেই বিরোধী দলনেতা করার দাবি উঠেছে। তবে, এখনও ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই খবর।
বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৌড়ে কারা? সামনে এল একাধিক নাম
এই অবস্থায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে বিরোদী দলনেতা সংক্রান্ত ইস্যুতে আবেদন পেশ করেছেন দলের পাঁচবাবরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব দেশবাসী মানতে শুরু করেছেন। তাঁকে গ্রহণ করেছেন মানুষ। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের কারণেই আজ কংগ্রেস বাল ফল করেচে। তাই রাহুল গান্ধীকেই লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা করুক হাইকমান্ড। এটা আমার করজোড়ে অনুরোধ সনিয়াজির কাছে। রাহুলজিও যেন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বে নেন।’
অল্প দিনের মধ্যে লোকসভার অধিবেশন বসবে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পাশ করাবে সরকার। তার আগে বিরোধী দলনেতা ঠিক করতে হবে বিরোধীদের। রাহুলকে ওই পদে মেনে নেবে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আপ? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।