কংগ্রেসের অবজ্ঞা, ঈশার জয়ে ‘গুপ্ত’ অবদান আইএসএফের!

লোকসভা ভোটের পরে উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক তথ্য! বাংলার চার আসনে অভাবনীয় ফল করেছে আইএসএফ। আইএসএফ নেতা শেখ আবিদ হাসানের বক্তব্য অনুসারে, এইবার প্রথম লোকসভা…

isf-isha khan chudhury

লোকসভা ভোটের পরে উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক তথ্য! বাংলার চার আসনে অভাবনীয় ফল করেছে আইএসএফ। আইএসএফ নেতা শেখ আবিদ হাসানের বক্তব্য অনুসারে, এইবার প্রথম লোকসভা ভোটে লড়ে ভাল ফল করেছে আইএসএফ। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি অনুসারে চার লোকসভা কেন্দ্রে আইএসফের প্রাপ্ত ভোট বাম এবং কংগ্রেসের চেয়ে বেশী। এখানেই শেষ নয় আইএসএফ দলকে মোল্লাদের দল বলাতেও তিনি আপত্তি জানিয়ে খাঁড়া করছেন তথ্য।

তাঁর বক্তব্য অনুসারে, ”আমাদের দল শুধুমাত্র মুসলিমদের দল নয়। আমরা মুসলিমদেরও প্রার্থী করি না।” প্রমাণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন যে চার কেন্দ্রের কথা। বারাসাত, বসিরহাট, মথুরাপুর এবং জয়নগর কেন্দ্রের কথা তিনি তুলে ধরে বলেন যে, ” উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মন প্রার্থী দিয়েছি আমরা। শুধু তাই নয়, আমরা দলিত প্রার্থীও দিয়েছি।” তিনি আরও দাবি করেন, ”সিপিএম ইচ্ছে করে আইএসএফকে সাম্প্রদায়িক দলের তকমা দিয়েছে। আগে তৃণমূল এবং বিজেপি দিয়েছে এখন সিপিএম দিচ্ছে।’তিনি প্রায় সব বিরোধী দলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দাবি করেছেন যে, ”বাংলায় আমাদের কেউ রাজনীতি করতে দিতে চাইছে না।” তাঁর আরও দাবি, ” সেলিম সাম্প্রদায়িক। ধর্মের নামে তিনি রাজনীতি করেছে। যেটা নওশাদ করেনি।”

   

তিনি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর দাবি যে ঈশা খান চৌধুরী আইএসএফের ভোটেই জিতেছি। মালদা দক্ষিণে আইএসএফ প্রার্থী যেন না দেয় সেই জন্য নৌসাদ সিদ্দিকিকে চিঠি লেখা হয়েছিল বলেও দাবি করেন শেখ আবিদ হাসান।প্রসঙ্গত এই লোকসভা ভোটে রাজ্যে ফের উড়েছে সবুজ আবির। দাগ কাটতে ব্যর্থ বিজেপি।

তবে শেখ আবিদ হাসানের দাবি অনুসারে বারাসাত, বসিরহাট, মথুরাপুর এবং জয়নগরে ভোটের শতাংশের বিচারে আইএসএফ তিন নম্বরে আছে এবং তাঁরা সাম্প্রদায়িক দলের তকমা ছেড়ে সর্বসাধারণের জন্য কাজ করতে চাই। উল্লেখ্য বসিরহাটে আইএসএফের প্রাপ্ত ভোট ১২৩৫০০, পাশাপাশি বারাসাতে আইএফএস প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়েরর প্রাপ্ত ভোট ১২১৪০০। অন্যদিকে মথুরাপুরের আইএসএফ প্রার্থী অজয় কুমার দাসের প্রাপ্ত ভোট ৮৭, ৮০৬। আবার জয়নগরের আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদারের প্রাপ্ত ভোট ৬৫,৩২৭। এই তিন প্রার্থীই নিজস্ব কেন্দ্রে তিন নম্বর স্থানে আছে বলে জানা গিয়েছে।