লোকসভা ভোটে গোহারা হারলেন ‘দলবদলু’ এই ৫ নেতা

কেউ গিয়েছিলেন (Lok Sabha Election) বিজেপি থেকে তৃণমূলে। আবার কেউ তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। লক্ষ্য একটাই। লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়া। তবে তাঁদের কেউই…

কেউ গিয়েছিলেন (Lok Sabha Election) বিজেপি থেকে তৃণমূলে। আবার কেউ তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। লক্ষ্য একটাই। লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়া। তবে তাঁদের কেউই জিততে পারেননি। জনতার রায়ে কারোরই স্বপ্নপূরণ হয়নি। এই পাঁচ নেতা হলেন অর্জুন সিং, কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী, বিশ্বজিৎ দাস এবং তাপস রায়।

রায়গঞ্জের নামকরা শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। এবার রায়গঞ্জ থেকে লোকসভা ভোটে কৃষ্ণকে টিকিট দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। আর বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দাপুটে নেতা কার্তিক পাল। কৃষ্ণ কল্যাণীকে ৬৮, ১৯৭ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন কার্তিক।

   

ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। লক্ষ্য একটাই, সাংসদ হওয়া। আগাম পরিকল্পনা ‘জলাঞ্জলি’ দিয়ে এই কেন্দ্রে মুকুটকেই টিকিট দেয় জোড়াফুল শিবির। বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কাছে ১, ৮৬,৮৯৯ ভোটে হেরেছেন মুকুট।

প্রধানমন্ত্রী নাও হতে পারেন মোদী! উঠে এল নতুন সম্ভাবনা

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস একুশের ভোটে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। তিনিও সাংসদ হওয়া লক্ষ্যে যোগ দেন তৃণমূলে। বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎকে দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু শান্তনুর কাছে ৭৩,৬৯৩ ভোটে পর্যদস্তু হয়েছেন বিশ্বজিৎ।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছেড়েছিলেন বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়। সেই তাপসকে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। উত্তর কলকাতায় অবশ্য পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাপস রায়। তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৯২ হাজার ভোটে হারিয়েছেন তাপসকে।

মিনমিনে গলায় শুভেন্দুর মুখে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির ‘আজব’ তত্ত্ব

লোকসভা নির্বাচনে লড়ার টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছাড়েন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ‘দলবদলু’ অর্জুন সিংকে টিকিটও দিয়েছিল বিজেপি। সেই অর্জুন ডুবিয়েছেন বিজেপিকে। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের কাছে ৬৪ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন ব্যারাকপুরের ‘বাহুবলী’ নেতা অর্জুন।

এই ৫ নেতার মধ্যে একমাত্র অর্জুনই এর আগে সাংসদ হয়েছেন। বাকি চারজন একবার বা একাধিকবার বিধায়ক হয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পাঁচ নেতার ভরাডুবিই প্রমাণ করে দিয়েছে টিকিটের লোভে দলবদল করা নেতাদের ইভিএমে যোগ্য জবাব দিয়েছে জনগণ।

বাংলায় লজ্জার হার বিজেপির একঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থীর