ভোটের দিন কাঁদো-কাঁদো গলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কটাক্ষ সজলের!

ভোট সমাপ্তির দিন সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন বরাহনগর কেন্দ্রের প্রার্থী সজল ঘোষ। রীতিমতো হাত চেপে ধরে কিউআরটি টিমে অভিযোগ জানান তিনি। বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ…

jeet win

Sajal Ghosh

ভোট সমাপ্তির দিন সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন বরাহনগর কেন্দ্রের প্রার্থী সজল ঘোষ। রীতিমতো হাত চেপে ধরে কিউআরটি টিমে অভিযোগ জানান তিনি। বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন সেখানে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ভুয়ো ভোটারকে হাতে ধরেই তিনি কমিশনে অভিযোগ জানান। এদিকে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বিজেপি প্রার্থীকে গিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সেই রখমই আলমবাজারের রবীন্দ্র ভবনে যাওয়ার পর তিনি নিজে হাতে ধরে ফেলেন ভুয়ো ভোটারকে। এর পরেই সেই ভোটারের সাথে বচসায় জড়িয়ে পরেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে বরানগরের আলমবাজারের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে।

অপর দিকে বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পরেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি। বরানগরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভ। তৃণমূল নেতাকর্মীর সঙ্গে বচসা। পুলিশের সঙ্গেও তর্কে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থীরা একের পর এক। বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূলের বেআইনি জমায়েত। অভিযোগ তোলেন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। পাল্টা শীলভদ্রর উদ্দেশে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

   
Advertisements

সজল ঘোষের এই ভুয়ো ভোটার ধরার পরই বরাহনগরের বিজেপির পার্টি অফিস ভাংচুর করা হয়, অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথেও বচসায় জড়ান তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তুমুল বচসার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অপদার্থ বলে অভিযোগ করেন সজল ঘোষ। এর পাশাপাশি তিনি বলেন অভিযোগ করেছেন দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্যই অবৈধ জমায়েত করছিলন তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘক্ষণ এই বিক্ষোভ চলে বুথের সামনে। দীর্ঘক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসে। পুলিশের সামনেই সজল ঘোষকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন শান্তিপূর্ণ ভোটদান চলছিল সজল ঘোষ এসে পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে।