শেষদফার ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অভিযোগের জবাব দিলেন দেশের দু’বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মনমোহন সিং। দাবি করলেন, মোদীজি হলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ওই পদের মর্যাদাকে নীচে নামিয়েছেন। এ জন্য মোদীর বিদ্বেষমূলক ও অসংসদীয় মন্তব্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মনমোহন।
পাঞ্জাবে ভোট আগামী ১লা জুন। তার আগে ভোটারদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই ডাঃ মনমোহন সিং লিখেছেন, ‘এবারের ভোট প্রচার খুব ভালোভাবে দেখছিলাম। মোদীজি সারাক্ষণ জঘণ্য ঘৃণাভাষণ দিয়ে গিয়েছেন। যা অত্যন্ত বিভাজনের রাজনীতি। মোদীজি হলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ওই পদের মর্যাদাকে নীচে নামিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদার যে গুরুত্ব তা ক্ষুণ্ণ করেছেন।’
ধ্যানস্থ হতে কেন বিবেকানন্দ রক-কেই বেছে নিলেন মোদী? জানুন আসল কারণ
মনমোহন আরও লিখেছেন যে, ‘উনি যেভাবে অসংসদীয় এবং নিচুমানের কথা বলেছেন তা বলার নয়। ওনার ভাষণের আদ্যপান্ত ভাষা ছিল একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী অথবা বিরোধীদের নিশানা করে। ওরা আমার সম্পর্কেও ভুল বক্তব্য বলেছে।’
চিঠিতে মনমোহন সিংয়ের দাবি, ‘আমি জীবনে কোনওদিন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যদের আলাদা করে দেখিনি। এটা বিজেপির বিশেষ অধিকার এবং এতেই ওরা অভ্যস্ত।’
তৃণমূল ২৩, বিজেপি ১৭, ভোট সপ্তমীর আগেই ফল ঘোষণা মমতার প্রিয় যুব নেতার
মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের কাছে মুসলিমরাই ছিল চোখের মণি। মুসলিমদেরই সমস্ত সুযোগ-সুবিধায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রাচারে কটাক্য করেছিলেন মোদী। মনে করা হচ্ছে, মোদীর সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর দাবি, কোনওদিন কোনও সম্প্রদায়কে তিনি বিভাজনের চোখে দেখেননি। কোনও ধর্মকে অন্য ধর্মের থেকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখেননি।
চিঠিতেই দেশের মানুষের কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মনমোহন। সংবিধান অক্ষত রাখতে, দেশের উন্নতি ও প্রগতিশীল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি বজায় রাখতে একমাত্র কংগ্রেসেই ভরসা বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘দু’হাত জড়ো করে দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি, শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। এই মুহূর্তে দেশের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য এই বিরোধকামী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা।’