এই মরশুমে অনবদ্য পারফরম্যান্স থেকেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপারজায়ান্টসের। শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ জয় করেছে এই প্রধান দল। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের সেই ছন্দ বজায় রাখে মেরিনার্সরা। যারফলে, অনায়াসেই টুর্নামেন্টের শিল্ড জয় করে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা।
যদিও সেই ধারা বজায় রেখে গতবারের মতো আইএসএল ট্রফি জয় করার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ পর্যন্ত এই খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিল পেট্রো ক্র্যাটকির মুম্বাই সিটি এফসি। কিন্তু এটি হাতছাড়া হলেও শিল্ড জয়ের সুবাদে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে বাগান শিবির।
যা নিয়ে কিছুটা হলেও খুশি সমর্থকরা। কিন্তু সেই তুলনায় এবারের এই সিজন বেশ হতাশার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুনের জুনিয়র দলের। কলকাতা লিগের পাশাপাশি রিলায়েন্স কর্তৃক আয়োজিত ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগে ও সেভাবে সুবিধে করতে পারেনি বাস্তব রায়ের ছেলেরা। মাঝে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছিল ছেলেরা। কিন্তু তারপর ডেভেলপমেন্ট লিগের জাতীয় স্তরে থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। যা নিঃসন্দেহে ভাবিয়েছে ম্যানেজমেন্টকে। কিন্তু নতুন মরশুমে নিজেদের সক্রিয়তা বজায় রাখাই অন্যতম লক্ষ্য বাগানের রিজার্ভ দলের।
সেইমতো একের পর এক তরুণ ফুটবলারদের দলে টানছে ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে এবার উঠে এসেছে লিওয়ান কাস্তানার নাম। এই সিজনে এফসি গোয়ার রিজার্ভ দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এবারের রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগে খেলেছেন একাধিক ম্যাচ। মূলত সেন্টার ব্যাক হিসেবে বিবেচিত হলেও প্রয়োজনে রাইট ব্যাক হিসেবেও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেন বছর একুশের এই ফুটবলার। সবদিক বিচার বিবেচনা করেই নাকি তাকে দলে টানতে চাইছে বাগান ব্রিগেড। যদিও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত নয় তার দল ছাড়ার বিষয়টি।