শান্তির ভোটে কীসের বার্তা, জল মাপছে সবপক্ষ

ছয় দফার ভোট শেষ। হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শান্তিতে ভোট। এই শান্তিতে ভোট, আসলে কীসের বার্তা দিচ্ছে। হাওয়া এবার…

Peace Vote in West Bengal

ছয় দফার ভোট শেষ। হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শান্তিতে ভোট। এই শান্তিতে ভোট, আসলে কীসের বার্তা দিচ্ছে। হাওয়া এবার তা হলে কোন দিকে। এ নিয়ে অঙ্ক কষছে সব দলই।

বোমা পড়ছে না। ভোট পড়ছে। রক্ত ঝড়ছে না। ভোট হচ্ছে। খুন হচ্ছে না। কিন্তু ভোট হচ্ছে। সেটাও আবার বাংলায়। পশ্তিমবঙ্গে ভোট এখনও পর্যন্ত মোটের উপর শান্তিতে। এতেই নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু। শান্তিতে ভোট মানে ঠিক কী হচ্ছে। কোন দিকে ভোট পড়ছে। হাওয়া কার দিকে। জল মাপছে সব দলই।

এ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে চুপচাপ মানুষ ভোট দিচ্ছে। ভোটারদের মনের কথা মুখে নেই। তাঁর মতে, ‘ভোটে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে আমরা খুশি। যে কায়দায় পঞ্চায়েত বা অন্য নির্বাচন রাজ্য প্রশাসন করেছে। সে কায়দায় করতে পারেনি। ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি। ওয়েব ক্যামেরা উপস্থিত থাকার জন্য অবাধ লুট এবং ভোটের কম্পার্টমেন্ট তুলে দিয়ে, কে কোথায় ভোট দিচ্ছে দেখা এটা খুব বেশি করতে পারেনি। জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ আমরা নিশ্চিত।’

বিজেপি জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। একই সুর তৃণমূলের গলায়। ঘাসফুলের নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, ভোট পড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের সমর্থনে সমর্থনে। তিনি বলছেন, ‘বিপুল পরিমাণে ভোট। মহিলাদের ভোট পড়ছে। মা-বোনেরা ভোট দিচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথি। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের যে আর্থিক অধিকার। সামাজিক অধিকার। রাজনৈতিক অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, মানুষ উন্নয়ন পাচ্ছেন। পরিষেবা পাচ্ছেন। একেকটি পরিবার বাংলায় সুরক্ষিত। সরকার দ্বারা সুরক্ষিত। তাঁরা উজার করে ভোট দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থাীদের।’

Advertisements

এবার ভোটের হার তুলনায় কম। হিংসাও কম। ভোটের মুর্শিদাবাদে লাশ পড়েনি। এ যেন ভাবাই যায় না। মুর্শিদাবাদের হাসপাতালের ডাক্তাররা অবাক। হিংসা হবে ধরে নিয়ে এ বছর তাঁরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। শান্তির ভোটে ডাক্তাররা স্বস্তিতে। তবে, শান্তির ভোটে বিজেপি-তৃণমূলের বিপদ বাড়বে বলে দাবি করছে সিপিআইএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বললেন, ‘হামলা করার মতো মনোভাব বিজেপি কোথাও কোথাও দেখাচ্ছে। কিন্তু বেশি সুযোগ পাচ্ছে না। পঞ্চায়েত-পুরসভা দেখলে সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু এটুকুই বা পাবে কেন। ইলেকশন হওয়া পর্যন্ত সেন্ট্রাল ফোর্স কনফিডেন্স বিল্ডিং করে। ভোট পর্যন্ত কিছু করতে পারল না বলে সেই রাগের জ্বালা, গায়ের জ্বালা ঝাল মেটানো। মানুষ খেয়াল রাখছে এতে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিপদ বাড়বে।’

হামলা, অশান্তি, রক্ত, মৃত্যু। দশকের পর দশক ধরে এই ছবি। এবার কিন্তু মোটের উপর শান্তির ভোট দেখছে বাংলা। যার থেকে একেক দল একেক রকম বার্তা খুঁজে পাচ্ছে। প্রত্যেকেই দাবি করছে, শান্তিতে ভোট তাদের পক্ষেই যাবে। শেষমেশ কারা বাজিমাত করে সেটা জানা যাবে চৌঠা জুন।