চটে লাল মমতা! দলীয় বিধায়ককেই পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার নিদান ‘দিদি’র

নির্বাচনী প্রচার সভায় অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার বসিরহাটের হাড়োয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেই সভায় গরহাজির ছিলেন মিনাখাঁর তিনবারের বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। য়া জেনেই…

mamata-banerjee-bjp-looted-votes-in-west-bengal-in-lok-sabha-elections

নির্বাচনী প্রচার সভায় অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার বসিরহাটের হাড়োয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেই সভায় গরহাজির ছিলেন মিনাখাঁর তিনবারের বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। য়া জেনেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

Advertisements

মঞ্চ থেকেই সরাসরি মমতা বলেন, ‘যাঁরা আজ মিটিংয়ে না এসে মনে করছেন তৃণমূলের কংগ্রেসের বিধায়ক থাকবেন, আর মিটিংয়ে আসবেন না। তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। আমি আজই বলে গেলাম আপনাকে নিয়ে দল চলবে না। ব্লকের যাঁরা আছেন, সংগঠনের যাঁরা আছেন তাঁরা দেখে নেবেন। যতক্ষণ না সে ক্ষমা চাইবে, পায়ে না ধরবে ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলকে আমরা মানি না, আমরা মানি না, আমরা মানি না।’

   

Remal: তাণ্ডব চালাতে পারে ‘রেমাল’, বিপদে সাহায্য পেতে সেভ করে রাখুন এই হেল্পলাইন নম্বর

তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা আমি মানবো না।’

Total Voters In Lok Sabha Election 2024: প্রথম ৫ দফায় কোন আসনে কত ভোট পড়ল? অবশেষে জানাল কমিশন

Advertisements

আগামী ১ জুন সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট হবে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে। এবার এই লোকসভা কেন্দ্রে জোরদার লড়াই শাসক-বিরোধীর। সন্দেশখালিকে ইস্যু করে ময়দানে বিজেপি। সন্দেশখালির রেখা পাত্র তাঁদের প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী করেছে বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামকে। শনিবার হাজি নুরুলের হাড়োয়াতেই সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেখান থেকেই দলের আরেক বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় তাঁকে।

২০১১ সাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ঊষারানি মণ্ডল। এরপর থেকে টানা তিনবার তিনি তৃণমূলের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। উল্লেখ্য, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই মিনাখাঁ বিধানসভা কেন্দ্র। তবে, বেশ কিছুদিন ধরে বিধায়কের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, আজ দলনেত্রীর সভাতেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁকে অনুপস্থিত দেখেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।