বিজেপির মহিলা কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত রয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram BJP)। এরই মধ্যে বড় খবর। ভোটের একদিন আগে আজ, শুক্রবার নন্দীগ্রামের (Nandigram BJP) হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ধনঞ্জয় ঘড়া নন্দীগ্রাম-১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি। সূত্রের খবর, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়নের দিন অশান্তির ঘটনায় ধনঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগামী কাল, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট। তার ঠিক আগের দিন দলের মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করায় ক্ষুব্ধ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের হার নিশ্চিত। তাই বেছে বেছে ভোটের ঠিক আগের দিন পুলিশ দিয়ে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্যের শাসকদল।
প্রসঙ্গত, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বিজেপির মিছিলকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। এই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়।
দেবের ‘কীর্তি’ ফাঁস শুভেন্দুর, পাল্টা ‘ও শুভেন্দু দা’ ডাক দিয়েই বিস্ফোরক দেব!
এদিকে বুধবার গভীর রাতে বিজেপির মহিলা কর্মীকে খুনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার সেই উত্তাপ আরও মাথাচাড়া দেয়। অভিযোগ, সোনাচূড়ায় রাতপ্রহরা দেওয়ার সময় রথীবালা আড়ি নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন মা রথীবালা। তখনই ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় ওই মহিলাকে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রথীবালার। তাঁর ছেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরেই ভোটের মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে একের পর এক দোকানে আগুন লাগানো হয়। আসবাবপত্রের দোকান থেকে আসবাব রাস্তায় নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া ধরানো হয় বলেও অভিযোগ। সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজারে রাস্তা অবরোধ করা হয় গাছ ফেলে।
খুনিদের সঙ্গে আইসি-র মিটিং! নন্দীগ্রাম থানায় দাঁড়িয়ে তুলকালাম অভিযোগ শুভেন্দুর
বিক্ষোভকারীরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ বিজেপির নেতা, কর্মীদের অবরোধ তুলে নিতে একাধিকবার আবেদন করলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত, উপস্থিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।