হাতে সময় মাত্র পনেরো মিনিট। তারই মধ্যে সাফ করতে বাড়ি! এইটা ছিল এই গ্রুপের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিষয়। আর এই পনেরো মিনিট সময়ের মধ্যেই বাড়ির যা যা মূল্যবান জিনিস আছে তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে। এটাই হলো মূল লক্ষ্য। ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। টালিগঞ্জ সহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তারা রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল। বাড়ি ফাঁকা থাকলেই তারা বাড়িতে বিশেষ কায়দায় ঢুকে একদম বাড়ি খালি করে দিচ্ছিল। তাদের পরিচিত নাম ‘গামছা ভোগলা।’ তবে একটি বাড়িতে চুরির ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই দলটি তিনজনের। তিনজনেই বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। মূলত এঁরা মিস্ত্রি ও শ্রমিক সেজে বাড়িতে অভিযান চালায়। আসলে এদের কাছে তালা খোলার একটি ছোট যন্ত্র থাকে যা শাবলের মতো যা তাদের কাছে গামছা বলে পরিচিত। সম্প্রতি এই বৃদ্ধ দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্যাংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে শোওয়ার ঘরে ঢুকে আলমারির পাশে রাখা চাবি খুলে লকার থেকে কয়েক লাখ টাকার সোনা ও হীরের গয়না লুঠ করে নেয়। এমনকী, ঘরে থাকা রেডিও, দু’টি দামী ঘড়ি, দু’টি মোবাইলও বাদ দেয়নি।
অভিযানে নেমে পুলিশ সিসিটিভির সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করে রবীন্দ্র নামে একজন দুষ্কৃতীকে। তাকে জেরা করেই ঢাকুরিয়া থেকে সেলিমপুরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি ঝুপড়ির ভিতর থেকে মূল অভিযুক্ত ভোগলা ও তার সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।ধৃতদের কাছ থেকে রেডিও ও মোবাইল উদ্ধার হয়। তাদের জেরা করেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে বাকি ঘড়ি, গয়না পুলিশ উদ্ধার করে।