সামনেই নীট পরীক্ষা আর তার কয়েক দিন পরেই ফলাফল ঘোষণা। ফলাফলের পরে কাটঅফ এর উপর নির্ভর করবে দেশজুড়ে মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে ভর্তির আবেদন। কিন্তু বছর বছর ক্রমাগত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় মেডিক্যাল কলেজ গুলির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই এবার দেশ জুড়ে সমস্ত মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দারুন একটি সুখবর সামনে এলো। চলতি শিক্ষা বর্ষে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল। মেডিকেল কলেজগুলোতে স্নাতকের পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্সে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় মেডিকেল কমিশন। এর ফলে সমস্ত ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল কলেজগুলিতে স্নাতক বিভাগে পঠন পাঠনের পাশাপাশি স্নাতকোত্তর বিভাগেও পড়াশোনা করতে পারবেন। চলতি বছরে বিভিন্ন কলেজগুলি থেকে আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৬৮ টি মেডিকেল কলেজের আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন।
যে সমস্ত মেডিকেল কলেজের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সমস্ত কলেজের নাম জারি করেছে জাতীয় মেডিকেল কমিশন। উল্লেখ্য এর আগে ১৬৮ টি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পরবর্তী কোর্স অর্থাৎ স্নাতকোত্তর কোর্সের পঠন-পাঠন হত। সীমিত সংখ্যক কলেজগুলিতে সীমিত সংখ্যক সিট থাকায় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিশেষ অভাব ছিল। এদের মধ্যে আপথ্যালমোলজি, রেস্পিরেটরি মেডিসিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন রিহ্যাবিলিটেশন ইত্যাদি বিভাগের চিকিৎসকদের অভাব দেখা যেত। তাই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিষয়গুলিতে চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে জাতীয় মেডিকেল কমিশনের তরফ থেকে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রাজ্যজুড়ে আবেদন করা মেডিকেল কলেজগুলির এসেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, কন্সেন্ট অফ এফিলিয়েশন ইত্যাদি কাগজপত্র খতিয়ে দেখে কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। যে সমস্ত কলেজের আবেদনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ইমেইল মারফত সেই সমস্ত কলেজগুলিকে সুযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। আসন বাড়ার ফলে বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নির্দিষ্ট বিষয়গুলিতে এডমিশন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে পড়াশোনা সুযোগ এবং প্রফেশনাল চিকিৎসকের সংখ্যা উভয় বৃদ্ধি পাবে। তাই মেডিক্যাল ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য এটা একটা বড়ো সুযোগ বলা যেতে পারে।