অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সোল্ড আউ। বুক মাই শো-তে যা টিকিট ছাড়া হয়েছিল সেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে টিকিট শেষ, কিন্তু চাহিদা তো রয়েছে অনেকটা। এই সুযোগে কালোবাজারির আশঙ্কা করছেন কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের একাংশ।
একটা টিকিটের জন্য বিভিন্ন হাপিত্যেশ করছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। বোঝাই যাচ্ছে শনিবারের মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচ হতে চলেছে হাউসফুল। একে ফাইনাল ম্যাচ, তার ওপর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, টিকিটের চাহিদা যে তাপমাত্রার মতো ঊর্ধ্বমুখী হবে সেটা আগে থেকে অনেকে হয়তো অনুমান করেছিলেন। কিন্তু চাহিদা যে এই পরিমাণে থাকবে সেটা হয়তো ময়দানের ফুটবল প্রেমীদের অনেকে আশা করেননি।
ক্লাব গ্রাউন্ডে খেলা হলে তা-ও আলাদা কথা ছিল. ফেন্সের আড়াল থেকে ম্যাচের ঝলক দেখা যেতে পারতো। কিন্তু এটা যুবভারতী, খেলা দেখতে হলে টিকিট কেটে মাঠে ঢুকতে হবে। ফুটবল সমর্থকদের এই আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে কিছু অসাধু ব্যক্তি। কালোবাজারির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনিতে নূন্যতম ১৫০ টাকা দামের টিকিট ছাড়া হয়েছিল। তারপর ৫০০ টাকা পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট রিলিজ করা হয়েছিল।
ঝোপ বুঝে কোপ মারতে অনলাইনে মাধ্যমেও কালোবাজারিরা জাল বিস্তার করতে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে। অফলাইনে হয়তো আরও কিছু টিকিট পাওয়া যাবে। কিন্তু তাতেও কি মিটবে চাহিদা? সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেন কালোবাজারিরা।