ভোটের মাঝেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। নিচুতলায় নয়। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের (Bengali Actor Dev) বিরুদ্ধে সরব কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তবে নাম উল্লেখ করেননি।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, “দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের ‘গদ্দার’ বলা হলে সেটা আপত্তির!”
পোস্টে কোনও নাম নেই। তাই টার্গেট বোঝার উপায় নেই। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে ঘাটালের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দেবকে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ।
বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দের সাক্ষাতকারে রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা বলেন দেব। তাঁর সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া মিঠুন চক্রবর্তীকে গদ্দার বলারও বিরোধিতা করেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতির মঞ্চে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ির তীব্র সমালোচনাও করেন। স্পষ্ট করে দেন যে রাজনীতির মঞ্চে সৌজন্য বজায় রাখা উচিত।
দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের 'গদ্দার' বলা হলে সেটা আপত্তির!
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 26, 2024
দেবের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কুণাল ঘোষের বক্তব্যে ‘সহমত’ পোষণ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র রিজু দত্ত। সেটাও এক্স হ্যান্ডেলে। অর্থাৎ গোপনে নয়।
কুণাল ঘোষ এদিন দুপুরে এই পোস্ট করেন। আর দুপুরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় দেবের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরু থেকেই দেবকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। বুঝিয়ে দেন দেব তাঁর কতটা প্রিয় পাত্র এবং প্রার্থী।
সম্প্রতি বালুরঘাটে দলের প্রচারে যান দেব। তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসা করেন। যাকে অস্ত্র করে আসরে নামে বিজেপি। তীব্র সমালোচনা করেন দেব। রাজনৈতিক সৌজন্যকে রাজনীতির অস্ত্র করার নিন্দা করেন। এবার সেই সৌজন্য নিয়েই সমালোচিত দেব। এবার নিজের দলেই।