মোত্তাকিন মুন, ঢাকা: দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সুপ্রাচীণ সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (BSPA) বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব খ্যাত ইমরানুর রহমান (Imranur Rahman)। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার রাকিব হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে পেছনে ফেলে স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার বা বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন অ্যাথলেট ইমরানুর। এছাড়াও, বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় ফুটবল দলের তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন দর্শকের ভোটে পেয়েছেন পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড।
ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সুপ্রাচীণ সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করে আসছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার ‘কুল-বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ২০২৩’ জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের সেরাদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে জমকালো অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী।
স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার তথা বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হওয়ার পর ইমরানুর বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। সামনে প্যারিস অলিম্পিকস ও দক্ষিণ এশিয়ান গেমস আছে, সেখানে ভালো কিছু করতে চাই। ’
অন্যদিকে বর্ষসেরা না হয়েও কোনও আক্ষেপ নেই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শান্তর। তিনি বলেন ‘কঠিন সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পেরেছি বলেই গত বছর সাফল্য পেয়েছি। এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। বর্ষসেরা হতে পারিনি বলে কোনও আক্ষেপ নেই। ইমরানুর ও রাকিবও ভালো ক্রীড়াবিদ।’
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জয়ী মোরসালিন বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য আপাতত বসুন্ধরা কিংসকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার। জাতীয় দলেও খেলছি। জাতীয় দলকে এগিয়ে নিতে চাই। শান্ত-পিংকি-ইমরানুরকে পেছনে ফেলে এটা জেতায় একটু অবাকই হয়েছি। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। ’
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও বিএসপিএকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বিএসপিএ এই আয়োজন করে যাচ্ছে। এ জন্য আমার পক্ষ থেকে বিএসপিএকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের খেলোয়াড়, সংগঠকেরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে আজকে যে পর্যায়ে এসেছি, তারা ক্রীড়াঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
পুরস্কার পেলেন যারা
স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার: চ্যাম্পিয়ন- ইমরানুর রহমান (অ্যাথলেটিক্স), রানার্সআপ- নাজমুল হোসেন শান্ত (ক্রিকেট) ও রাকিব হোসেন (ফুটবল)। পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড- শেখ মোরসালিন (ফুটবল), বর্ষসেরা ক্রিকেটার (পুরুষ)- নাজমুল হোসেন শান্ত, বর্ষসেরা ক্রিকেটার (নারী)- ফারজানা হক, বর্ষসেরা ফুটবলার- রাকিব হোসেন, বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)- ইমরানুর রহমান, বর্ষসেরা বক্সার- সেলিম হোসেন, বর্ষসেরা শুটার- কামরুন নাহার কলি, বর্ষসেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়- রামহিম লিয়ন বম , উদীয়মান ক্রীড়াবিদ- শেখ মোরসালিন (ফুটবল), বর্ষসেরা দলগত সাফল্য- অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল, সক্রিয় সংস্থা- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বর্ষসেরা কোচ- আলফাজ আহমেদ, তৃণমূলের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব- মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারোত্তোলন), বর্ষসেরা সংগঠক- হাবিবুর রহমান (কাবাডি) ও বিশেষ সম্মাননা- মনজুর হোসেন মালু।