আর ২ বছরের মধ্যেই ফের বঙ্গ ভঙ্গ। লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোটের আগে। রবিবার এমনই দাবি করলেন, দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। সাফ জানালেন যে পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) নিযে ভাবনা-চিন্তা করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
এ দিন রাজু বিস্তা বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড বিজেপির আলোচনায় রয়েছে। কোনও কারণে হচ্ছে না। ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড হবেই। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।’ বাংলা ভেঙে নতুন রাজ্য গঠনই যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজু। তাঁর কথায়, ‘ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের তৈরির জন্যই আমি ভোটে লড়ছি। যাতে এখানকার বাসিন্দাদেরদাবি পূরণ হয়। এটাই আমার প্রধান কাজ। এছাড়া আমার কোনও কাজ নেই।’
এই প্রথম পাহাড় একছত্র আধিপত্যের বাইরে। এই প্রথম পাহাড় ভূমিপুত্রের ভোটে লড়ার দাবিতে সরব। পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্কে এখন একাধিক রাজনৈতিক দলের আধিপত্য। জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি এবং বিজেপি। এই বিজেপিকে সমর্থন করছে বিমল গুরুং। তিনিই দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এবারও সেই একই দাবিতে তিনি বিজেপির পাশে।
গুরুং বলেছেন, ‘পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে আমি সরব না। পাঁচ বছরে পৃথক গোর্খাল্যান্ড না হলে আমরা আর বিজেপিকে সমর্থন করব না।’ একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘এবার তো করতেই হবে। অনেক অপেক্ষা হয়েছে। এবার বিজেপিকে শেষ সুযোগ দিচ্ছি। সেই কারণেই তো বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে সমর্থন করছি। কান ধরে গোর্খাল্যান্ড করাব।’ এ নিয়ে পালটা জবাব দিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সংবিধানের মধ্যেই গোর্খাল্যান্ড রয়েছে। তাই আমরা বলছি পৃথক গোর্খাল্যান্ড সংবিধান মেনেই হবে। যাদের বোঝার তারা বুঝে গেছে। কেউ না বুঝলে আমার কিছু করার নেই।’
রবিবার পাহাড়ের লেবংয়ে সভা করে বিজেপি। আবহাওয়া খারাপ থাকায় লেবংয়ের সভায় পৌঁছতে পারেননি অমিত শাহ। কিন্তু ফোন বার্তায় পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর গলায় পৃথক গোর্খাল্যান্ডের কথা শোনা যায়নি। অমিত শাহ বলেন, ‘কমিউনিস্ট ও তৃণমূল দুজনে পাহাড়কে রক্ত রঞ্জিত করেছে। পাহাড়ে শান্তি আনার কাজ কেবল এবং কেবল বিজেপি করতে পারে।’