দুর্বল উত্তরে প্রচারে জোর দিচ্ছে তৃণমূল শিবির। শুক্রবার কোচবিহারের দিনহাটায় সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনহাটার সংহতি ময়দান থেকে তিনি একদম অল আউট অ্যাটাক করলেন বিরোধীদের। তিনি আবার হুঙ্কার দিলেন, ” জনগণের বিসর্জন, বাংলার বিরোধীদের বিসর্জন।” এইদিন তিনি তাঁর নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পড়ে মঞ্চে আসেন। তবে তাঁকে তাঁর চেনা ছন্দেই এইদিন আবার দেখা গেল। এইদিন তিনি জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন। এইদিন তিনি নিশীথ প্রামাণিককে নাম না করে আক্রমণ করে বলেন, ” ভোটের পর তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যায় না।” শুধু তাই নয় তাঁকে ‘দানবদস্যু’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। তাঁকে ‘কচিকাঁচা হোম মিনিস্টার’ বলে ব্যঙ্গ করেন।
বিজেপিকে মাফিয়া সর্দার দল বলে আক্রমণ করেন। এইদিন তিনি বেঙ্গালুরু ক্যাফতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, ”তোর রাজস্থান সেফ? তোর উত্তরপ্রদেশ সেফ?” একটু থেমে তিনি আরও বলেন, ” বাংলায় দু’ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল আর বলে কিনা বাংলা আনসেফ।” তাঁর মুখে ফের উত্তরবঙ্গের ঝড়ের প্রসঙ্গ। তিনি আওয়াজ তুলে বললেন, ” কেন আমরা দুর্গতদের বাড়ি করে দিতে পারব না?” তিনি গর্জন করে বললেন, ” আমার নামে কেস করলে আমি গর্ববোধ করব।”
এইদিন তিনি অমিত শাহ এবং নিশীথ প্রামাণিককে এক যোগে আক্রমণ করলেন। দুজনকেই গুন্ডা বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। তিনি উন্নয়নের খতিয়ান দেখিয়ে বলেন, ”ছিটমহল কে করে দিয়েছিল ? কোচবিহার এয়ারপোর্ট কে করে দিয়েছিল ? উত্তরকন্যা কে করে দিয়েছিল ? আমি করে দিয়েছি।” তিনি হুঙ্কার ছাড়েন , ” রাজবংশী বিশ্ববিদ্যালয়ও আমি করে দিয়েছি।” তিনি এইদিনও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগ করেন। সিএএ নিয়েও সরব হয়েছেন এইদিন । কিন্তু আজ তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণে করলেন যা বিগত কিছু সভায় দেখা যায়নি। সভা শেষের দিকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সিনেমায় নামার পরামর্শ দেনও তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, ” ক্ষমতা থাকলে বিজেপি কর্মীদের আপনার হাতিয়ার বানান, ইডি-সিবিআইকে নয়।”