লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম দেশ। এদিকে এই লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নতুন করে বাংলায় এসে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ করে আজ রবিবার ধুপগুরি থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস শুধু কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেসের কাছে কাশ্মীর কিছুই না। কিন্তু ১৪০ কোটি দেশবাসীর মুকুট কাশ্মীর। শ্যামাপ্রসাদ কাশ্মীরের জন্য লড়েছেন। মোদীর গ্যারেন্টিতে ভয় পাচ্ছেন বিরোধীরা।’
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “তৃণমূল, বাম দলগুলি এবং কংগ্রেস সব বন্ধু। নিজেদের দলের দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে এই তিন দল মিলে ইন্ডি-র জোট গঠন করেছেন। আমি বলি ‘ভ্রষ্টাচার মিটাও’, আর ওরা বলে ‘ভ্রষ্টাচারী বাঁচাও’।” প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যত শক্তিশালী হবে, আমাদের দেশের উপর বিশ্বের আস্থা তত দৃঢ় হবে।”
কাশ্মীর নিয়ে খাড়গের বক্তব্যের জবাবও দেন মোদী। গতকাল শনিবার কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘মোদী কেন অন্য রাজ্যে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেন। কাশ্মীর তাদের কাছে কিছুই নয়, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে কাশ্মীর ভারত মাতার মাথার মতো।’
এরই মাঝে তৃণমূলকে আইন ও সংবিধানকে পদদলিত করা দল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখানে এলে টিমএসি তাদের আক্রমণ করে এবং মানুষকে দিয়ে এই কাজ করায়। সন্দেশখালিতে কী হয়েছে, তা গোটা দেশ জানতে পেরেছে।’
তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে গত ৪ এপ্রিল কোচবিহারে সভা করেন তিনি। একই দিন কোচবিহারে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেইসময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দেবেন মোদী। বাকি জীবন তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে।’