লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত চরমে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি মালদায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সাংগঠনিক সভাকে ঘিরে এই সংঘাতের সূত্রপাত। রাজ্যপালের দাবি, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই সভায় উপস্থিত হয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য পোষণ করেছেন। রাজ্যপালের নির্দেশ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
তাঁর মতে, রাজ্যপাল এমন কাজ করতে পারেন না। মমতার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যতই সংঘাত থাক অধীরের, এক্ষেত্রে তিনি রাজ্যপালের বিরোধিতা করলেন। অধীর চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন এটা জানি। আমার মনে হচ্ছে রাজ্যপাল এটা করতে পারে না, এটা করা উচিৎও নয়।’
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে গেলে তো মুশকিল। এটা রাজ্যপালের কাজের মধ্যে পড়ে না। রাজ্যপালের এইধরনের ছেলেমানুষি মন্তব্যের আমি বিরোধিতা করছি। রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ার নেই একজন মন্ত্রীকে বলা যে তুমি সরে যাও। তাহলে রাজ্যপাল এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেই পারেন। ঝামেলা মিটে যায়।’
শুধু অধীর চৌধুরী নন, রাজ্যপালের এমন নির্দেশের সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর মতে, ‘রাজ্যপাল বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, এটা রাজ্যপালের কাজের মধ্যে পড়ে তো শুনিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যপাল নিজের চোখে দেখেছেন কীভাবে ভোট লুট করা হয়েছিল এবং সংবিধানকে ধ্বংস করা হয়েছিল। কোনও অ্যাকশন তো নিতে দেখিনি রাজ্যপালকে।’