ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলছে নানান রহস্য। তবে মহিলার শরীরের সমস্ত অংশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি । কারণ গতকাল থেকে তদন্তের পর সেই মহিলার শরীরের টুকরো-টুকরো অংশ উদ্ধার করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। ওয়াটগঞ্জের এই ঘটনার পর সেই মহিলার দেহের অংশ পাওয়া গিয়েছিল প্লাস্টিকে বন্দি অবস্থায়। মৃতদেহ উদ্ধার করার পর দেখা যায় সেই প্লাস্টিকে মহিলার দেহের সমস্ত অংশ নেই। আর এরপর থেকে শুরু হয় বিশেষ তদন্ত।
দেহ পাওয়ার পর মহিলার সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আজ বুধবার সকালেও মহিলার পরিচয় নিয়ে তদন্তে রয়েছে পুলিশ। তবে যে স্থানে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান এই মহিলা বিবাহিত। বয়স আনুমানিক পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বৎসর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার দুপুরের পর সত্য ডাক্তার রোড এলাকায় এক অপরিচ্ছন্ন স্থানে তিনটি প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তারা দেখে সেই স্থানে তিনটি প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে, প্লাস্টিক তিনটির উপর থেকে অনেক মাছি ওড়াউড়ি করছে। দেখা মাত্রই তারা প্রথমেই ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখেন যে ওই প্লাস্টিকের মধ্যে রয়েছে এক মহিলার কাটা মুণ্ড । আর বাকি দু’টিতে রাখা কাটা দুটো হাত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে,কোথাও খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে এই স্থানে। তবে এই ঘটনায় খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা রুজু করেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এবার তদন্তে নেমেছে হোমিসাইড শাখা।