পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। বঙ্গে যুদ্ধ জয়ে নয়া কৌশল। এবার মুসলিম ভোটও নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিজেপি (BJP)।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে, তাঁদেরকে বোকা বানানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে তাঁদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে দেখা হয়েছে। এতদিন যে ভোট দিত এবার তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ বিজেপিকে দেবে।’
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এ কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য বারবার মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। খোদ শুভেন্দু অধিকারী সংখ্যালঘু ভোট ছাড়াই বিজেপি জিতবে বলে দাবি করেন। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ ওঠে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে।
একুশের ভোটের ফলেই স্পষ্ট, মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিয়ে তেমন কিছু লাভ হয়নি বঙ্গ বিজেপির। কারণ, মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে আরও বেশি সুসংহত হয়েছে। হিন্দু ভোটও পুরোপুরি বিজেপির দিকে যায়নি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পদ্মশিবির ভালোই বুঝতে পেরেছে, এ রাজ্যে তৃণমূলকে হারাতে হলে তাদের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতেই হবে। মুসলিমদের একাংশ পদ্মের পক্ষে আছে বলেও দাবি বিজেপির। গত পয়লা মার্চ বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘টিএমসি অহঙ্কার করে বলে তাদের একটা নিশ্চিত ভোটব্যাঙ্ক আছে। এবার সেই মুসলিম মা বোনেরাও তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে এগিয়ে আসবে।’
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় তিরিশ শতাংশ মুসলিম। পঁচিশ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটার রয়েছেন এমন বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪৬টি। একুশের ভোটে এই ১৪৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে ১৩১টিতে। বিজেপির ঝুলিতে যায় মাত্র ১৪টি। একটি পায় আইএসএফ। এই ফলেই স্পষ্ট, মুসলিম ভোটের প্রায় পুরোটাই গিয়েছে তৃণমূলে ঘরে। সেখানেই এবার ভাগ বসাতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছে ‘আজকের দিনে বিভাজন নয়। উন্নয়নই শেষ কথা। এবং উন্নয়ন ও মোদিজি সমার্থক। তাই তারাও আজ বিজেপির মিছিলে।’