Loksabha Election 2024: চব্বিশে তৃণমূলের নজরে ৪ বিধানসভা

পার্থ-জ্যোতিপ্রিয় জেলে। তৃণমূলের আরও দুই বিধায়ক জেলবন্দি। চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) এই চার বিধায়কের কেন্দ্রে বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। চার কেন্দ্রেই লিড ধরে…

Loksabha Election 2024: চব্বিশে তৃণমূলের নজরে ৪ বিধানসভা

পার্থ-জ্যোতিপ্রিয় জেলে। তৃণমূলের আরও দুই বিধায়ক জেলবন্দি। চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) এই চার বিধায়কের কেন্দ্রে বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। চার কেন্দ্রেই লিড ধরে রাখতে তারা মরিয়া। জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য নেতাদেরও এই চার কেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে হবে। নির্দেশ তৃণমূলের।

গরুপাচার, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি। একের পর এক দুর্নীতিতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এখনও জেলে রয়েছেন তৃণমূলের চার বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবরার বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক। নদিয়ার পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য এবং মুর্শিদাবাদের বড়ঞার জীবনকৃষ্ণ সাহা। অর্থাৎ চার বিধায়ক জেলে।

   

তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধায়ক না থাকায় এই চার বিধানসভা এলাকাগুলিতে সংগঠন সেরকম জমাট নয়। তাই এই চার কেন্দ্রে এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। এ নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘সাংগঠনিক ভাবে দল দেখছে৷ যাদেরকে কাস্টডিতে রাখা হয়েছে৷ সেই কেন্দ্র থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস লিড পাবে৷ কিছু হলে মেরামতি চলছে৷ বিরোধীরা যদি ভাবে ওই সব জায়গায় সুবিধা পাবেন। সেই সব জায়গাতেও লিড নিয়ে নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।’

Advertisements

চব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বাড়তি নজর বেহালা পশ্চিম, হাবরা, পলাশিপাড়া এবং বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে উনিশের লোকসভা ভোটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাবরা এবং জীবনকৃষ্ণর বড়ঞাঁতে পিছিয়েছিল তৃণমূল। লিড পায় বিজেপি। এরপর একুশের ভোটে ঘুরে দাঁড়ালেও চব্বিশে ফের চার বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল।

তাদের লক্ষ্য চব্বিশেও এই চার আসনে লিড ধরে রাখা। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্বকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই চার কেন্দ্রে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে প্রচার করবেন রাজ্যস্তরের নেতারাও।