স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরেই নতুন মরশুম থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। মরশুম শুরুতেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠে দল। শেষ পর্যন্ত সাফল্য না এলেও দলের পারফরম্যান্স খুশি করেছিল সকলকে। পরবর্তীতে সেই ছন্দ বজায় রেখেই কলিঙ্গ সুপার কাপ শুরু করে ময়দানের এই প্রধান।
একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল দলকে সহজেই পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা আটকে দেয় সার্জিও লোবেরার শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে। যারফলে, বহু বছর পর ফের জাতীয় স্তরের কোনো ট্রফি উঠে এসেছে এই প্রধানে। তবে আইএসএলের দ্বিতীয় লেগ শুরু হওয়ার আগেই ফের ছন্দ হারায় দল।
আসলে, উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে দল থেকে লোনে অন্যত্র চলে যান বোরহা হেরেরা ও জাভিয়ের সিভেরিও টোরো। তাদের দুজনের অনুপস্থিতি বর্তমানে যথেষ্ট ভোগাচ্ছে মশাল ব্রিগেডকে। স্প্যানিশ তারকা ভেক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলেসিও ব্রাউন দলে আসলেও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা খুশি নন কেউ। বলতে গেলে জর্ডানের বিদেশি ফুটবলার হিজাজি মাহের ও সার্বিয়ান ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার প্যান্টিচ ছাড়া কারুর পারফরম্যান্স নিয়েই খুব একটা খুশি নন দলের সমর্থকরা। এক্ষেত্রে দলের খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। বিশেষ করে পুরোনো দুই খেলোয়াড়দের অভাব দলের ক্ষেত্রে যে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটাই ভালো মত বুঝতে পারছে ম্যানেজমেন্ট।
তবে এসবের মাঝেই দল গঠন নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করলেন লাল-হলুদ ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আপনারা দলের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আগত কয়েকটি ফুটবল মরশুমে দল যাতে আরও ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারে সকলকে আমরা সেই চেষ্টাই করছি। অর্থাৎ নতুন মরশুম থেকেই যে চমক রয়েছে কলকাতার এই প্রধানের তরফ থেকে সেটা কিন্তু বলাই চলে।