শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গেলেন তাঁর বিধানসভা এলাকার খুন হওয়া ব্যবসায়ীর (Businessman) বাড়ি। দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। তিনি এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ” এরা ক্রিমিনালের চেয়েও বড় ক্রিমিনাল।”
বুধবার সকালে কলকাতার ভবানীপুরের এক ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার নিমতা এলাকার একটি বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের পাশে ব্যবসায়ীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বস্তাবন্দি দেহের উপর পাঁচিলও তুলে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, যে বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি দেহ পাওয়া গিয়েছে সেই বাড়ির মালিক মৃত ব্যক্তির পরিচিত।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে সোমবার দুপুর নাগাদ খুন হয়েছেন ব্যবসায়ী ভব্য লাখানি। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী নেহা লাখানি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
খুনের কারণ হিসাবে উঠে আসছে আর্থিক লেনদেনের তথ্য। এই খুনের ঘটনার পুলিশ আপাতত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যে বাড়ি থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাড়ির মালিক অনির্বাণ গুপ্ত এবং সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন,” অনির্বাণের বাড়িতে খুন করে ছাদের উপর জলের ট্যাঙ্কের নীচে রেখে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত অনির্বাণ মৃতের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। ওষুধ সরবরাহের অজুহাতে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ওই ওষুধ সরবরাহ করেননি এবং টাকাও ফেরত দেননি।”
মিটিংয়ে ডেকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য মিলেছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় উইকেট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় ব্যবসায়ীর। সংজ্ঞাহীন হওয়ার পরেও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন খুনিরা। তার পর উইকেটগুলো এক জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীর রক্তমাখা জামাকাপড় ছুড়ে ফেলা হয় নিমতার একটি ধাপায়।
বুধবারই অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধরায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।