রুটিন বদলির আড়ালে কি প্রশাসনিক চাপ ? যদিও ইডির ওপর হামলার ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস!সন্দেশখালির স্বঘোষিত বাঘ এখন সিবিআই হেফাজতে হলেও এই নিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোল তুঙ্গে। তারমধ্যে আগামী ১০ই মার্চ বিগ্রেডে তৃনমূলের সভা। আবার সেইদিনই সন্দেশখালি যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিজেপির একটি সভা করার কথা। এরমধ্যেই সন্দেশখালি থানার ওসি বদল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালি থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে পাঠানো হলো বসিরহাট থানায়। অপরদিকে গোপাল সরকারকে আনা হলো সন্দেশখালি থানার ওসির পদে। যিনি এর আগে বসিরহাট জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তিনি কর্মরত ছিলেন।
তবে প্রশাসন এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। রুটিন বদলি বলে এটি প্রচার করা হলেও অনেকেই মনে করছেন এই পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। প্রসঙ্গত স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিল। পুলিশে অনস্থার চিত্র সারা বাংলা দেখেছে,স্থানীয় মহিলারা বারবার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বারাসাত জনসভায় সন্দেশখালির পাঁচজন মহিলা গিয়ে দেখাও করেন, তাঁরা অভিযোগও জানান।
তবে কাজে যোগ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে বদলি করা হলো সন্দেশখালি থানার ওসিকে। অনেকেই মনে করছেন ঘরে বাইরে ব্যাকফুটে তৃণমূল। সদ্য দল ছেড়েছেন তাপস রায়। তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে দল মুখে কুলুপ এঁটেছে আবার অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় শাজাহান শেখের বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে মুখ খুলেছেন, তাই তিনি দলত্যাগী তাই এবং অসন্তুষ্ট।