Blue Aadhaar Card: শুধু সাদা নয়, এবার এল নীল আধার কার্ড, এর বিশেষত্ব জানেন?

আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটি ব্যবহার করা…

আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করানো, নতুন চাকরি পাওয়া বা স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হোক না কেন, অনেক জায়গায় আধার কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আধার কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকে। এতে আমাদের বায়োমেট্রিক ও ডেমোগ্রাফিক ডিটেইলস রেকর্ড করা হয়।

তবে আজ কথা হবে ব্লু বা নীল আধার কার্ড (Blue Aadhaar Card) নিয়ে । আপনি যদি না জানেন যে নীল আধার কার্ড কী এবং এর মূল্য কী, তবে এই আর্টিকেলটি রইল আপনার জন্য। জেনে নিন কীভাবে ঘরে বসেই অনলাইনে ব্লু কার্ডের জন্য আবেদন করবেন। এর জন্য কি কোনও চার্জ লাগবে নাকি এটি বিনামূল্যে করা হবে? জেনে নিন।

   

আপনার পরিচয় জানাতে বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জন্য আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এতে লেখা ১১ ডিজিটের নম্বরটি অনন্য। দেশে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তির আধার কার্ড থাকা অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আধার কার্ড সম্পর্কে জানেন, কিন্তু জানেন কি দেশে অনেক ধরনের আধার কার্ড তৈরি হয়? যার মধ্যে একটি হল নীল রঙের আধার কার্ড। এখন আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এটা কী ধরনের আধার কার্ড, কেন এটি রাখা উচিত?

ব্লু আধার কার্ড কী?

যদি আমরা নীল আধার কার্ডের কথা বলি, তাহলে আধার কার্ড পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় এবং এর রঙ নীল। এই আধার কার্ডকে বাল আধার কার্ডও বলা হয়। সাধারণ আধার কার্ডের বিপরীতে, শিশু বয়সে বায়োমেট্রিকের প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই অনলাইনেও করতে পারবেন। UIDAI-এর ওয়েবসাইটের সাহায্যে, এই প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, আগে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করতে এই আধার কার্ডের প্রয়োজন হত, কিন্তু এখন বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়াই তৈরি করা যায়।

অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে…

নীল আধার কার্ডের জন্য আপনাকে প্রথমে UIDAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.UIDAI.gov.in যেতে হবে।

এখানে আপনি আধার কার্ডের লিঙ্ক দেখতে পাবেন, এটিতে ক্লিক করুন। এর পরে, একটি নতুন উইন্ডো খুলবে, এখানে আপনাকে আপনার সন্তানের নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডির মতো বিশদ পূরণ করতে হবে।

এখন সন্তানের জন্মস্থান (যেখানে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছিল), সম্পূর্ণ ঠিকানা, জেলা-রাজ্যের মতো বিশদটি পূরণ করুন।

বিশদটি সাবধানে পরীক্ষা করুন এবং ফর্মটি জমা দিন।

অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে, আপনাকে একবার ইউআইডিএআই কেন্দ্রে যেতে হবে।
ইউআইডিএআই কেন্দ্রে যাওয়ার আগে আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্টও করতে পারেন। এর জন্য আপনার কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিকল্পও থাকবে, এই বিকল্পটি নির্বাচন করুন এবং একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। উল্লেখ্য, এর জন্য আপনাকে কোনো চার্জ দিতে হবে না।