Child Eye Care: অল্প বয়স এবং মোটা চশমা… জীবনে গ্যাজেটগুলির ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ এবং খাদ্যের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে এটি এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, চোখের সমস্যা শুধুমাত্র দুর্বল দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি শিশুর শেখার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। দুর্বল দৃষ্টিশক্তির কারণে, অনেক শিশুর পক্ষে কাগজে এমনকি ব্ল্যাকবোর্ডে সূক্ষ্ম মুদ্রণ পড়া কঠিন হয়ে পড়ে। এটি বিকাশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং শিশুর মনে হয় যেন তারা পিছিয়ে আছে।
প্রাথমিক চিকিৎসার পরামর্শ প্রয়োজন
একটি শিশুর জীবনের প্রথম তিন বছর তার সার্বিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যখন তার ব্যক্তিত্বের বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। জীবনের প্রথম তিন বছরে, একটি শিশু নতুন জিনিস শেখার জন্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ নিউরাল সার্কিট অর্জন করে। অল্প বয়সে চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে, একটি শিশুকে শেখানো যেতে পারে কীভাবে তার হাত এবং চোখের মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় স্থাপন করা যায়, দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও। চোখের পেশী মজবুত করা যায় চোখের সাথে সম্পর্কিত ব্যায়ামের সাহায্যে (Child Eye Care)।
বার্ষিক চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
শৈশবকালে শিশুকে যেমন নিয়মিত বিরতিতে টিকা দেওয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রতি বছর শিশুকে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়ে তার চোখ পরীক্ষা করানো জরুরি। তার দূরত্ব বা কাছাকাছি দৃষ্টি দুর্বল কিনা তা জানতে ডাক্তার শিশুর দৃষ্টি পরীক্ষা করবেন। তার কি চশমা লাগবে? ডাক্তারি পরীক্ষাও বুঝতে সাহায্য করবে শিশুর দৃষ্টি ঝাপসা হয়েছে নাকি তার পড়তে অসুবিধা হচ্ছে? চশমার সাহায্যে এই সমস্ত সমস্যা দূর করা যায়। নিয়ম হচ্ছে তিন বছর বয়সে প্রত্যেক শিশুর চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। উভয় চোখে চশমার সংখ্যার পার্থক্যের কারণে বা তিরস্কার বা ছানি পড়ার কারণে, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করা হলে দৃষ্টি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সঠিক দৃষ্টি আত্মবিশ্বাস বাড়াবে
প্রত্যেকেরই সবকিছুর জন্য উন্নত দৃষ্টি প্রয়োজন। সেটা হাঁটা, পড়া, রুমে রাখা কোনো বস্তুকে তার দূরত্বের ভিত্তিতে শনাক্ত করা বা এমনকি আপনার আশেপাশের লোকজনকে চিনতে পারে। ভালো দৃষ্টিশক্তি থাকলে শিশুটি ভালোভাবে দেখতে পারে। শিশুটি ভালোভাবে দেখতে সক্ষম হলে সে স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ডে দেওয়া নির্দেশনা দেখতে পাবে এবং বাড়ির কাজগুলো ঠিকমতো করতে শুরু করবে। সে ক্লাস আলোচনায়ও অংশ নেবে এবং আরও ভালো পারফর্ম করতে পারবে। শিশুর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।