গত ৩রা ফেব্রুয়ারী ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ময়দানের দুই প্রধান। নির্ধারিত সময় শেষে ২-২ গোলে শেষ হয়েছে সেই ম্যাচ। একাধিকবার গোল করে এগিয়ে গেলেও জয় সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি লাল-হলুদের (East Bengal)। আর্মান্দো সাদিকু ও দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলের দরুন মান বাঁচে মোহনবাগানের। তবে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিতে ভোলেননি বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে বাগান কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিকবার সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন দুজনে।
তাদের কথায় ভারতীয় ফুটবলের মান উন্নত করতে হলে রেফারিদের ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে ম্যাচের রেফারিং নিয়ে যে খুব একটা খুশি হওয়া সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে তা বলাই চলে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধের শুরু থেকেই কার্যত দাপিয়ে খেলেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল।
যার দরুন ম্যাচের ঠিক চার মিনিটের আগেই এগিয়ে যায় এই প্রধান। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে ততই চাপে পড়েছে মোহনবাগান। দাঁতে দাঁত চেপে কার্যত লড়াই চালাতে হয়েছে সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের। যার দরুন ম্যাচ জুড়ে চলতে থাকে হরদম ফাউল। কার্ড ও দেখতে হয় দুই দলের একাধিক ফুটবলারদের।
এমন এক পরিস্থিতিতে মহেশ সিংয়ের ঘাড়ের উপর উঠে পড়েন দীপক টাংড়ি। যারফলে, মেজাজ ও হারাতে দেখা যায় দুই দলের ফুটবলারদের। এমন পরিস্থিতিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় নাওরেম মহেশ সিংকে। তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় এই তরুণ উইঙ্গারকে। যারফলে, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন আগামী কয়েক ম্যাচে হয়ত মাঠে নামতে পারবেন না এই উইঙ্গার। তবে শেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ তিনি। যার দরুন আগামী নর্থইস্ট ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন মহেশ সিং।