কলকাতার জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জেডএসআই)-র গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি একটি দারুণ আবিষ্কার করেছেন। কী সেই আবিষ্কার? মেঘালয়ের চা বাগানে পাওয়া গিয়েছে ‘জাম্পিং স্পাইডারের’ একটি নতুন প্রজাতি।
ফিন্টেলা হ্যান্ডারসোনি (Phintella handersoni) নামে নতুন চিহ্নিত প্রজাতিটি মেঘালয়ের রি-ভোই জেলার খাসি পাহাড়ের অ্যান্ডারসন টি এস্টেটে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রজাতিটি চা বাগানের মালিক প্রয়াত হ্যান্ডারসন সাইমলিহকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
সল্টিসিডে পরিবারের অন্তর্গত, ভারতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় মাকড়সার পরিবার, যেখানে ১০৪ টি বংশের অধীনে ৩১৫ টি বর্ণিত প্রজাতি রয়েছে। জাম্পিং মাকড়সা তাদের নিপুণ শিকারের দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তারা শিকারের পিছু নেওয়া এবং শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিড়ালের মতো বৈশিষ্ঠ প্রদর্শন করে।
ফিন্টেলা জিনাস, যে নতুন প্রজাতির অন্তর্গত, ছোট থেকে মাঝারি আকারের মাকড়সার উপর স্পন্দনশীল রং এবং ধাতব ইরিডিসেন্ট স্কেল দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই মাকড়সার সাধারণত গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির মাথা থাকে যার একটি স্বতন্ত্র পশ্চাৎভাগের ঢাল থাকে এবং তাদের পেটে হালকা এবং অন্ধকার অনুভূমিক ব্যান্ড দেখায়। এগুলি সাধারণত ঝোপঝাড় এবং ঘাসের পাতা এবং বাকলের নীচে পাওয়া যায়।
জেডএসআই, কলকাতার ডক্টর সৌভিক সেনের নেতৃত্বে গবেষণা দলে জেডএসআই, কলকাতার ড. সুধীন পি.পি. এবং চেন্নাইয়ের সাভেথা ইউনিভার্সিটির ড. জন টি.ডি. ক্যালেব অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘জুসিস্টেমেটিকস অ্যান্ড ইভোলিউশন’-এর জানুয়ারি ২০২৪ সংস্করণে তাদের অনুসন্ধানগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা একটি বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যের হটস্পট হিসাবে উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে মেঘালয়ের তাত্পর্যের উপর জোর দিয়েছেন। অঞ্চলটি সমৃদ্ধ দেশীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের গর্ব করে, তবুও এর মাকড়সার প্রাণী অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। এই আবিষ্কারটি মাকড়সারা কৃষি বাস্তুতন্ত্রের প্রাকৃতিক শত্রু হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর আলোকপাত করে, বিশেষ করে চা বাগানে, যেখানে তারা বিপুল সংখ্যক কীটপতঙ্গ খেয়ে কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে।