একদশক, তারও বেশি। কলিঙ্গ সুপার কাপ (Kalinga Super Cup) জিতে ট্রফি খরা কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। মাঝে এই দশ বারো বছরে অনেক বাঘা বাঘা কোচ ফুটবলাররা এসেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কেউই কার্যকর প্রমাণিত হননি শেষ পর্যন্ত। ইস্টবেঙ্গলের এবারের দল নিয়েও কিছু সমর্থকের মনে হয়তো প্রশ্ন ছিল। রবিবার রাতে সব প্রশ্ন উধাও। কলকাতার রং লাল হলুদ।
সুপার কাপ জিতে এশিয়ান ফুটবল খেলার দরজা খুলে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর এই মুহুর্তের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য একুশ বছর বয়সী সায়ন ব্যানার্জী। সুপার কাপের ফাইনালে খেলেছেন প্রায় চল্লিশ মিনিট। তার আগে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন গড়ে দশ মিনিট করে। ওড়িশার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার পর বাকি সময় মাঠে ছিলেন সায়ন।
সায়ন যখন ওড়িশায় ফাইনাল ম্যাচে খেলছিলেন, তাঁর গোটা পরিবার তখন চোখ রেখেছিল আসানসোলের বাড়ির টিভির পর্দায়। চাপের মুহূর্ত, ছেলের জন্য টেনশনে ছিলেন বাবা-মা। খেলা দেখতে দেখতে ঘনঘন চা খেয়েছেন সায়নের বাবা সোমনাথ ব্যানার্জী। খেলা শেষ হওয়ার পরে ছেলের ফোন, ” বাবা খেলা দেখেছো? আমরা জিতেছি।”
“আমরা জিতেছি”, এই কথা শুধু সায়নের নয়, আপামর ইস্টবেঙ্গল প্রেমী মানুষের। কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে আজ জন জোয়ার। লাল হলুদ আবিরে রঙ ফিরে পেয়েছে তিলোত্তমা। এবার লক্ষ্য এশিয়া। সুপার কাপের এই ধারা বজায় রাখাই এবার লক্ষ্য হবে লাল হলুদ ব্রিগেডের। সঙ্গে থাকছে ইন্ডিয়ান সুপার লীগ। ফর্ম ধরে রাখতে পারলে দল চলে যেতে পারে প্লে অফে।