বিহারে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতেই সদ্য ক্ষমতাচ্যুত মহাজোট সরকারের ‘মুখিয়া’ লালু যাদুবকে (Lalu Prasad Yadav) ইডি জেরা করতে শুরু করল। রবিবার বিহারের অ-বিজেপি মহাজোটের সরকার ক্ষমতা হারায়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ফের চলে গেছেন বিজেপির জোটে। এরপর ফের বিজেপি জোটের সরকার হয়েছে। আর সোমবার ইডি জেরার মুখে লালু। তিনি পাটনায় ইডি দফতরে হাজিরা দেন।
জমি-জমা-চাকরি দুর্নীতির একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু যাদবকে শনিবারই ইডি নোটিশ পাঠিয়েছিল। সেই মুহূর্তে অ-বিজেপি মহাজোট ছেড়ে ফের বিজেপির জোটে নীতীশ কুমার চলে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছিল। আর লালু জোট ধরে রাখতে নীতীশের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে লালুর নম্বর ব্লক করে দেন নীতীশ কুমার। সরকার পরিবর্তনের ডামাডোলের মধ্যেই আরজেডি আশঙ্কা করেছিল লালুকে জেরায় ডাকবে ইডি। রবিবার সরকারের রঙ পাল্টাতেই সোমবার লালুর জেরা!
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব সোমবার পাটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসে জন্য পৌঁছে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কন্যা মিশা ভারতী। তিনিও এই মামলার একজন অভিযুক্ত।বিপুল সংখ্যক আরজেডি কর্মীও কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসের বাইরে জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। লালু যাদব তাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অ-বিজেপি মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির ঘরে ইডি অভিযান। তাঁর বিরুদ্ধেও জমি কেলেঙ্কারির মামলায় তদন্ত করছে ইডি। রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হেমন্তকে জেরা করেছিল ইডি।
অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জেলে গেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। মামলা চলাকালীন বিহার কেটে ঝাড়খণ্ড তৈরি হয়। মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর লালুকে রাঁচির জেলে বন্দি করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার পাল্টে অ-বিজেপি সরকার আসার অন্যতম কারিগর ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সরকার গঠিত হতেই লালুর জন্য বিশেষ সুবিধা করা হয়েছিল। আর বয়সজনিত কারণে তিনি ছিলেন রাঁচির রিমস হাসপাতালে। জামিন পেয়ে তিনি পাটনায় ফিরে যান। তারপর বিহারে বিজেপি জোট ভাঙানোর কারিগর হয়েছিলেন। সেই মহাজোট সরকার রবিবার ভেঙে গেছে। আর লালুকে ফের জেরায় ঘিরেছে ইডি।