আগামী ২৮ তারিখ কলিঙ্গ সুপার কাপের (Kalinga Super Cup) ফাইনাল। যেখানে বাংলার একমাত্র দল হিসেবে খেলতে নামবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। অন্যদিকে থাকছে ওডিশা এফসি। দেখলে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫ ম্যাচ অপরাজিত ওডিশা এফসি। যার মধ্যে টানা ১৩ ম্যাচে জয় ও ২টি ড্র রয়েছে তাদের। সেই ধারা বজায় রেখেই সুপার কাপের ফাইনাল জিততে চাইছে সার্জিও লোবেরার ছেলেরা।
উল্লেখ্য, গত ফুটবল মরশুমের শুরুটা খুব একটা স্বস্তিজনক না থাকলেও পরবর্তীতে সুপার কাপের ছন্দে থেকেছে এই ফুটবল ক্লাব। একের পর এক শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে তারা পৌঁছে গেছিল ফাইনালে। সেখানে বেঙ্গালুরু বধ করে আসে চূড়ান্ত সাফল্য। যার দরুন পরবর্তীতে এএফসি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ আসে এই ক্লাবের কাছে। এখনো পর্যন্ত ভারতের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এই টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দিতা করছে জগন্নাথের রাজ্যের এই ক্লাব।
অন্যদিকে, সুপার কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির আমেজ রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। ট্রেন থেকে শুরু করে বাস সবকিছুর মাধ্যমেই ধীরে ধীরে পড়িশার বুকে পা রাখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। সেই সাথে দলের বৃহৎ ফ্যান ক্লাব গুলির তরফ থেকেও দেখা দিয়েছে অধিক সক্রিয়তা।
তাই সুপার কাপের ফাইনাল ওডিশার বুকে ওডিশা এফসি খেললেও সমর্থনের দিক থেকে যে কোন অংশে পিছিয়ে পড়বে না ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল, তা কিন্তু বলাই চলে। তবে ম্যাচের টিকিট কাটা নিয়ে দেখা দিয়েছিল যত বিতর্ক। আসলে প্রথম দিকে ঠিক কোন গ্যালারি বা কোন স্ট্যান্ড ঠিক কাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তা পরিষ্কার ছিল না।
পরবর্তীতে সকলের সুবিধার ক্ষেত্রে আসরে নামে ওডিশার অন্যতম সক্রিয় ফ্যান ক্লাব জগরনাটর্স। কিছু সময় আগেই তাদের তরফ থেকে টুইট করে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় সমস্ত কিছু। সেখানে উল্লেখ করা হয়, লাল-হলুদ সমর্থকরা কোনভাবেই যেন ইস্ট স্ট্যান্ডের টিকিট বুকিং না করে। সেক্ষেত্রে ম্যাচের দিন সমর্থকেরা সেই স্ট্যান্ডে আসলে তাদের স্কট করে বার করে দিতে পারে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য মূলত বরাদ্দ করা হয়েছে মাঠের সাউথ স্ট্যান্ড।