‘কিন্তু আমি কাঁদছি’- কেন কাঁদছেন Anindya!

Anindya: ‘আমি, অয়ন, পিকলু- এই তিনজনে মিলে তৈরি করলাম পরশপাথর। চলতে লাগল আমাদের নানা এক্সপেরিমেন্ট। বাংলা গানের সঙ্গে ড্রামস বা ইলেকট্রিক গিটার বাজবে, সেটা তৈরির…

Anindya

Anindya: ‘আমি, অয়ন, পিকলু- এই তিনজনে মিলে তৈরি করলাম পরশপাথর। চলতে লাগল আমাদের নানা এক্সপেরিমেন্ট। বাংলা গানের সঙ্গে ড্রামস বা ইলেকট্রিক গিটার বাজবে, সেটা তৈরির জন্য ছিল ব্যাপক পরিশ্রম। টুকটাক শো করছি। এমন নয় খুব কেউ গান শুনছে। যাদবপুরে একটা শো করলাম। সেখানে উপল গিটার বাজিয়েছিল। ওর বাড়িতেই গিয়েছিলাম রুহার্সল করতে। সেই শো যাকে বলে সুপার ফ্লপ। তবে ভাগ্য বদলেছিল, এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্র আমাদের নিয়ে কভার স্টোরি করার পর। এটার পর আমাদের একটা পরিচিতি তৈরি হয়।’ তাহলে হঠাৎই পরশপাথর ছেড়ে কেন বেরিয়ে গেলেন অনিন্দ্য! কি এমন ঘটেছিল?

এরই উত্তরে এদিন অনিন্দ্য বললেন, ‘পরশপাথরের প্রথম অ্যালবামের প্রায় নব্বই শতাংশ গান আমারই গাওয়া। এদিকে মেনশন করা হচ্ছে না কার গান, কে লিখেছেন, কে সুর করেছেন। সবই পরশপাথরের নামে যাচ্ছে। কিন্তু একটা ক্রেডিটস তো থাকবে। সবাই মিলে তো আর একটা গান তৈরি করতে পারে না। সব মিলিয়ে একটা বিরক্তির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল ব্যাপারটা। প্রচুর ইগো ক্ল্যাশ। আর এই বিরক্তির কারণে মনের মধ্যেও একটা অস্বস্তি চলছিল।’

   

এরপর এইসব নিয়েই তাঁদের টিমের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তিনি রাগ সামলাতে না পেরে ছেড়ে বেরিয়ে যান। অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন, সহ্য করতে পারেননি সেই জ্বালা। পাগলের মতো কেঁদে উঠেছিলেন অন্ধকার কলকাতার রাস্তায়। অনিন্দ্যার কথায়, কিন্তু আমি কাঁদছি। বাড়ি ভেঙে ভেঙেছিলেন ক্যাসেট। সে যাই হোক এখনও বাঁচার লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।