চোখ কপালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মীদের। ১০০ কোটি টাকার কোকেনসহ ধৃত এক মহিলা বিদেশি যাত্রী। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে আনা কোকেনের সবথেকে বড় চালান এটি। বাজেয়াপ্ত করা৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনের দাম আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ দপ্তর বুধবার রাতে ওই কোকেন পাচারকারী মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম নোমথানডাজো তোয়েরা সোকো (৩৫)। বুধবার রাতে সে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতর পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ জানান শাহজালাল বিমানবন্দরে গতরাতে কোকেনের চালান বাজেয়াপ্ত হয়। তিনি বলেন, মাদকের একটি বড় চালান আসছে বলে খবর ছিল। গোয়েন্দা দল গত দুদিন ধরে কাজ করছিল বিমানবন্দরে। বুধবার রাতে আফ্রিকা থেকে আসা কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের যাত্রীদের ওপর নজর রাখা হয়। মালাউই দেশের এক নাগরিকের আতরণে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার হাতে থাকা একটি ফোল্ডারে ১ কেজি কোকেন পাওয়া যায়। এরপর তার লাগেজ তল্লাশি করা হয়, কিন্তু ভেতরে কিছু ছিল না। স্ক্যানেও কিছু ধরা পড়ছিল না। কিন্তু লাগেজের ওজন দেখে সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষা করে দেখা যায়, লাগেজের তলায় বিশেষ কায়দায় কার্বন পেপার দিয়ে মোড়ানো আছে সাত কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন।
নোমথানডাজো তোয়েরা সোকো এর আগেও জুতো ও পোশাক পণ্যের ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। এবারও তিনি ব্যবসার কাজে ঢাকায় আসার কথা বলেন মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। তার কাছেই মিলেছে ১০০ কোটি টাকার কোকেন।
ঢাকার উত্তরায় একটি আবাসিক হোটেলে ওঠার কথা ছিল নোমথানডাজো তোয়েরা সোকোর। যার মাধ্যমে ওই হোটেলের রুম ‘বুক’ করা হয় সেই ব্যক্তির ফোন বন্ধ। গ্রেফতার হওয়ার আফ্রিকান নারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালে সাড়ে তিন কেজি কোকন উদ্ধার হয়েছিল। আর ২০১৫ সালে ১০৭টি ড্রামে সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আনা কোকেনের একটি চালান ধরা পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর মধ্যে একটি ড্রাম পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, ১৮৫ কেজি সানফ্লাওয়ার তেলের এক-তৃতীয়াংশই তরল কোকেন।