সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। পলাতক তৃ়নমূল নেতা শেখ শাহজালাল। এ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রায় ১ সপ্তাহ পরেও শাহজাহানের নাগাল পায়নি পুলিশ। এই নিয়ে শাসক বনাম বিরোধী বাগযুদ্ধ চলছে।বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, ‘‘শাহজাহানে বিষয় নিয়ে যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ।’’
শেখ শাহজাহানের বিষয় মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত মালব্য। শাহজাহানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া উচিত। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট বিজিপি নেতা অমিত মালব্যর। এই বিষয় পাল্টা মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহানের ছবি দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। শুভেন্দু নিশ্চয়ই তার ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু বলতে পারবে। আরেকটা বিষয় যে শেখ শাহজাহানকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। তিনি যোগ দেননি। সেই জন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তার ওপর পরিকল্পিত চক্রান্ত করে। একটি দৃশ্যের অবতারণা করে তাকে টার্গেট করা হয়েছে।”
সন্দেশখালির ঘটনার জন্য মমতাকেই ‘দায়ী’ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।’ শুভেন্দু আরও বলেছিলেন, ‘শেখ শাহজাহানের বাড়িতে দুষ্কৃতি তাণ্ডব হয়েছে। চোর মমতার প্রিয় পাত্র শেখ শাহজাহান। মমতার পুলিশ হয়তো জানতে পেরেছিল যে, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যাচ্ছে। তাই বাঁচাতে এ সব করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, পশ্চিমবঙ্গে কেউ সুরক্ষিত নেই।’