এবার কলকাতা (Kolkata) মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগ, অর্থোপেডিক বিভাগের দুই জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি বা পিজিটিকে তাঁদের সিনিয়ররা টানা তিন-চার মাস ধরে র্যাগিং করেছেন। মঙ্গলবার অর্থোপেডিকের নিগৃহীত দুই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া বিট্টু ধর এবং জনসন প্রবীণ আম্বেদকর এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে।
তাদের অভিযোগ অর্থোপেডিকেরই দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৌরব্রত রায় মহাশয় ও দিগন্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, কলেজে র্যাগিং কখনই বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেডিক্যালের কর্তারা জানিয়েছেন, ইউজিসি-র নিয়ম মেনে বিষয়টি অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। তারাই সবটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। ঘটনার নিন্দা করেছে মেডিক্যালের “রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন”। এত দিন ধরে র্যাগিং চলার পরে লিখিত অভিযোগ জানানোয় হতাশাও জানিয়েছে তারা।
নিগৃহীতদের অভিযোগ, তাদের ইলেকট্রিক কেটলি দিয়ে মারা হয়েছে, পেটে আঘাত করা হয়েছে এবং আরও নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। যার জেরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলছে। অধ্যক্ষ বলেন, ‘এমন একটা ঘটনা যে ঘটছে, এতদিন কেউ আমায় সে অভিযোগ জানায়নি। এ বার র্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে দেখবে।’