INDI জোটের রাশ হাতে নিতে এবার সমন্বয়ের দায়িত্ব নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেডি(ইউ) প্রধান। প্রত্যেক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও খবর। এতেই জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস চিন্তিত। কারণ, বারবার মমতাকে জোটের প্রধান নেত্রী বলেছে তৃণমূল। এবার নীতীশ ইন্ডিয়া জোটের রাশ ধরতে শুরু করলেন।
জোটের আসন সমন্বয় নিয়ে ডেটলাইন পেরিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। সুতারং নির্বাচনী ময়দানে বিরোধী দলগুলির পারস্পরিক বোঝাপড়ার কোনো জায়গা তৈরী হবে কিনা তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। ঠিক সেই সময়ে আলাদাভাবে ময়দানে নামলেন নীতীশ কুমার। প্রত্যেকটি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। যেখানে তিনি যেতে পারবেন না সেখানে তিনি ভার্চুয়াল মিটিং করবেন। এই বৈঠকের মূল বিষয় হবে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে যেসমস্ত বিরোধী দল রয়েছে তাদের মধ্যে যাতে বোঝাপড়া হয়, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয় তা নিয়ে আলোচনা হবে।
সর্বশেষ বৈঠকে মমতার তরফে জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম তোলা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন নীতীশ কুমার ও লালু যাদব। জোটের বৈঠকে নীতীশ কুমার কনভেনর পদে আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকাঅর্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন। ক্ষোভ দেখিয়ে নীতীশ সেই বৈঠকের পর বেরিয়ে যান। তড়িঘড়ি খাড়গে নাকচ করেন মমতার দাবি। এরপর মমতা জোট ছাড়তে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে।
জোটের শরিক সিপিআইএম আগেই বলেছে, মমতা যে কোনও সময় জোট ছাড়তে পারেন। এই বিতর্ক উস্কে গেল নীতীশের অবস্থানে। এই জোটে নীতীশকুমারের যতটা গুরুত্ব পাওয়ার আশা ছিল তা আদতে বাস্তবায়িত হয়নি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নীতীশ কুমার নতুন পদক্ষেপ করে নিজের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষককরা।
এদিকে জোটের পরবর্তী বৈঠকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব আনতে পারে কংগ্রেস। প্রকৃতপক্ষে, কংগ্রেস বিহারে জেডিইউ-আরজেডি-র মধ্যে ক্রমবর্ধমান তিক্ততার কারণেও অস্থির। অপরদিকে বিহার রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। লালন সিংকে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন নীতীশ কুমার।