Amit Shah: বাংলার নেতারা পারবে না বুঝে আইটি সেলকে ৩৫টি আসনের ভার দিলেন শাহ

অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছেন পশ্চিম বাংলায় দলের টার্গেট ৩৫ আসন। কিন্তু কোন্দলে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য পদ্মের সংগঠন নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায়। সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা।…

Home Minister Amit Shah and BJP President Sukanta Majumdar discussing Howrah Ram Navami violence

অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছেন পশ্চিম বাংলায় দলের টার্গেট ৩৫ আসন। কিন্তু কোন্দলে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য পদ্মের সংগঠন নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায়। সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। দলেরই বেশিরভাগ রাজ্য নেতৃত্ব তাকে পাত্তাই দেয় না বলে শাহর সফরে উঠে এলো বিতর্ক। জানা যাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে ৬০ হাজার বুথের অর্ধেক বুথও নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারেনি বিজেপি।

রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নাড্ডাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে বাংলা এসে গত নভেম্বর মাসে ধর্মতলায় জনসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।

   

বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে বুথ ভিত্তিক সংগঠন গঠন করতে হবে। সেই মতোই বেশ কয়েক মাস ধরে রীতিমতো রুটিন মেনে কর্মসূচি দিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে ঘটা করে এই কর্মসূচি করলেও তার ফলস্বরূপ তেমন কিছুই মেলেনি। ফলে অমিত শাহর বড় ভরসা দলের আইটি সেল।

৩৫টি আসনের জন্য আইটি সেলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বার্তা দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন লোকসভা ভোটে ৩৫টির বেশি আসন পাবে গেরুয়া শিবির। আজ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেল এর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন। এর সঙ্গে তিনি আরো বলেন যদি মোদীজিকে ৩৫টি আসন দিতে পারেন তাহলে মোদীজি সোনার বাংলা গড়ে দেবে।

তিনি বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে এই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে। তাদের তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার যোদ্ধা বলে সম্মান করেছেন। তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ার যোদ্ধারা যদি চেষ্টা করেন তাহলে তারা সবকিছু করতে পারে। কেউই তাহলে মোদীজিকে জয়ের রাস্তায় বাধা দিতে পারবেনা।

সংগঠনের প্রয়োজনে তার সঙ্গে বারংবার বাংলায় আসতে হচ্ছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বাংলায় নিজেদের মধ্যে কোন্দলে ব্যস্ত থাকা দলের সদস্যদের ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র ভরসা অমিত শাহ।

অমিত শাহ বলেছেন ২০১৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হালকা ভাবে নিতেন। তবে এই ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়ে এখন আর সেটা নিতে পারেন না। কাটমানি থেকে শুরু করে মহুয়া মৈত্র সহ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তিনি তুলে ধরেন।  তিনি অভিযোগ করেছেন এই রাজ্য থেকে কাটমানি তুলে বিদেশে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেই।