তাঁর দেওয়া ভিজিটর পাস দিয়ে লোকসভায় ঢুকেছিলেন দুই যুবক। সভাকক্ষে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছিল।পার্লামেন্টের নিরাপত্তা (Parliament Security)নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন| যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সারা দেশে। সেই বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা অবশেষে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে যে তিনি দেশপ্রেমিক নাকি একজন বিশ্বাসঘাতক।সিমহার হাতে বোমা এবং তাতে ‘দেশদ্রোহী’ লেখা একটি পোস্টারের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি সাংসদ একথা বলেন।
সংসদকাণ্ডের পর কর্ণাটকের বেশ কয়েকটি সংগঠন মহীশূরের সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এবং একটি সংগঠন সিমহাকে বিশ্বাসঘাতক বলে দাবি করে একটি পোস্টার লাগিয়ে দেয়।
তার প্রতিক্রিয়ায় সিমহা বলেন, ‘দেবী চামুণ্ডেশ্বরী, মা কাবেরী, যারা গত ২০ বছর ধরে আমার লেখা পড়ছেন, মহীশূর ও কোডাগুর মানুষ যারা গত ২০ বছরে আমার কাজ দেখেছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি বিশ্বাসঘাতক নাকি দেশপ্রেমী। তারা ২০২৪ সালের এপ্রিলের নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারাই বিচার করবে আমি বিশ্বাসঘাতক নাকি দেশপ্রেমিক।
এর আগে সিমহা যখন লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তিনি জানান, অভিযুক্তের বাবা সাগর শর্মা তাঁর নির্বাচনী এলাকা মহীশূরে থাকেন। তিনি বলেন যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সম্পর্কে তাঁর কাছে অতিরিক্ত কোনো তথ্য তথ্য নেই।
প্রতাপ সিমহার নামে জারি করা ভিজিটর পাস ব্যবহার করে সাগর শর্মা লোকসভায় প্রবেশ করেছেন বলে জানার পরে কংগ্রেস কর্মীরা মহীশূরে তাঁর অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান।